স্বদেশ ডেস্ক:
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মহাখালী, রামপুরা ও জোয়ারসাহারা বাজার বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঘুরে দেখা গেছে, চিকন চাল (মিনিকেট) প্রতিকেজি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মোটা ব্রি-২৮ চাল ৫৬ থেকে ৬০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারের ঢাকা রাইস এজেন্সির ব্যবসায়ী মো. সায়েম কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এক সপ্তাহের ব্যবধানে সব ধরনের চালের দাম বস্তাপ্রতি প্রায় ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।’
রাজধানীর বাবুবাজারের চাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বাড়তি দামে ধান কেনার কথা বলে মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছেন। যার প্রভাব খুচরা বাজারে পড়েছে।
এদিকে চালের দাম বাড়বে না বলে সম্প্রতি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ঘোষণা দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা রোজায় চাল নিয়ে কারসাজি করলে তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে সপ্তাহ না কাটতেই চালের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এতে চলতি বছরের তিন মাসে কারণ ছাড়াই দুই দফায় বেড়ে গেল চালের দাম।
সবজির বাজার
রাজধানীর খুচরা বাজারে গত সপ্তাহে বেগুনের দাম ছিল মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, এখন ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ১২০ থেকে ১৪০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হওয়া দেশি শসা দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ টাকা। টমেটোর কেজি এখন ৫০ টাকা, গত সপ্তাহে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকা।
কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমে শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। ঢেঁড়স ও পটোল কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১২০ টাকা ছিল করলার কেজি, এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। কাঁচা মরিচের দামও কেজিতে ২০ টাকা কমে মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর দাম এখনো প্রতি হালি ৫০ থেকে ৮০ টাকা। লাউয়ের দাম কিছুটা কমে প্রতি পিস সাইজভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন করে আলুর দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ ও দেশি রসুনের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানিকৃত রসুনের কেজি এখনো ২০০ টাকা। আদা আগের বাড়তি দামেই কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়।
জোয়ারসাহারা বাজারের সবজি বিক্রেতা আজগর আলী গতকাল বলেন, ‘রোজায় সবজির চাহিদা কমে যাওয়ার কারণে দাম অনেক কমে গেছে। তার পরও সবজি বিক্রি করতে পারছি না।’
মাংসের বাজার
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের বাড়তি দামেই মুরগি ও গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২২০ টাকা এবং সোনালি মুরগি কেজি ৩১০ থেকে ৩৩০ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়।
কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের মেসার্স মা আয়েশা ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন জানান, সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দামে কোনো পরিবর্তন নেই। তবে এখন মুরগির চাহিদা কিছুটা কমেছে, যার কারণে সামনে দাম কিছুটা কমতে পারে।