স্বদেশ ডেস্ক:
কাজ শুরুর প্রায় এক দশক পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে বাস র্যাপিট ট্রানজিট বা বিআরটি প্রকল্পের চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত একটি ফ্লাইওভারের ময়মনসিংহ মুখী দুইটি লেন।
এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন অনেকটা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছে। কমেছে সড়ক ব্যবহারকারীদের দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগ।
প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, চান্দনা চৌরাস্তায় নির্মিত বিআরটি প্রকল্পের ফ্লাইওভারের একাংশ মঙ্গলবার সকাল থেকে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এতে ফ্লাইওভারের দুইটি লেন উন্মুক্ত করার পর স্বাভাবিক গতিতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী যানবাহন চলাচল করছে।
এর আগে এসব যানবাহন বিকল্প পথে নাওজোড় হয়ে চলাচল করত।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ময়মনসিংহগামী ও জয়দেবপুরগামী দু’টি লেন খুলে দেয়ায় এ মহাসড়কে যানজটের ভোগান্তি কমেছে।
বিআরটি প্রকল্পের প্রকৌশলী রাসেল রানা জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ওই ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী লেনও খুলে দেয়া হবে।
তিনি আরো জানান, বিআরটি প্রকল্পের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার।
প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আবদুল্লাহপুর থেকে টঙ্গীর চেরাগআলী পর্যন্ত ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার উড়াল সড়ক ও ৬টি ফ্লাইওভার নির্মাণ।
সড়কের প্রধান করিডোরের সাথে সংযোগের জন্য বিভিন্ন অংশে ১১৩টি সংযোগ সড়ক নির্মাণ, ২৫টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ, ঢাকা বিমানবন্দর ও গাজীপুরের শিববাড়ী এলাকায় দু’টি বাস টার্মিনাল নির্মাণ।
বাস স্টপেজে প্রবেশ ও বের হওয়া এবং পথচারী পারাপারের জন্য ৩০টি আন্ডারপাস নির্মাণ, সড়কের দুই পাশে উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন ৪১ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ। ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ফুটপাত নির্মাণ।
এদিকে ৬ বছরে কাজ শেষ করার থাকলেও নানা অজুহাতে সময় বাড়ানো হয়েছে চারবার। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে প্রকল্প ব্যায়। সময় ফুরিয়ে গেলেও কাজ এখনো ফুরোয়নি।
যদিও প্রকল্প কর্মকর্তারা বলছেন, এ পর্যন্ত প্রকল্পের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
সূত্র : ইউএনবি