শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
১০ দফা বাস্তবায়নে অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

১০ দফা বাস্তবায়নে অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

স্বদেশ ডেস্ক:

ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে তারা মাঠে নেমেছে। অভিযানের প্রথম দিন রামপুরা-বনশ্রী ও মিরপুর অঞ্চলে মাঠ পর্যায়ে তদারকি করছে অধিদপ্তরের দুটি টিম। বেলা পৌনে ১২টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার মেডিকেল অফিসার দেওয়ান সালাউদ্দিন আমাদের সময়কে এ তথ্য জানান।

সালাউদ্দিন বলেন, ১০ দফা নির্দেশনা ঠিকমতো মানছে কিনা এবং নিবন্ধন ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান চলছে কিনা সেটি তদারকিতে চার সদস্য করে ৬টি টিম করে দিয়েছেন মহাপরিচালক। আগামীকাল বুধবার পূর্ণ অভিযানে নামা হবে। আজ রামপুরা-বনশ্রী ও মিরপুর অঞ্চলে অভিযান শুরু হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার রাজধানীর পপুলার ল্যাব এইড ও বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে গিয়ে নির্দেশনার বাস্তবায়ন দেখতে পায় অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা। এ সময় তিনি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধন্যবাদ জানান।

এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা দেয় অধিদপ্তর।

নির্দেশনায় বলা হয়, বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিকের লাইসেন্সের কপি প্রতিষ্ঠানের মূল প্রবেশ পথের সামনে দৃশ্যমান স্থানে অবশ্যই স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে হবে, সকল বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় তথ্যাদি সংরক্ষণ ও সরবরাহের জন্য একজন নির্ধারিত দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকতে হবে। একইসঙ্গে তার ছবি ও মোবাইল নম্বর দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। একই সঙ্গে ডায়াগনস্টিক সেন্টার, প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির ক্ষেত্রে যে ক্যাটাগরিতে লাইসেন্সপ্রাপ্ত শুধু সে ক্যাটাগরিতে নির্ধারিত পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কোনোভাবেই অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাবে না। ক্যাটাগরি অনুযায়ী প্যাথলজি বা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও রেডিওলজি বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করতে হবে।

বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতালের ক্ষেত্রে লাইসেন্সের প্রকারভেদ ও শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী সকল শর্তাবলী বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে, হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়োজিত সকল চিকিৎসকের পেশাগত ডিগ্রির সনদ, বিএমডিসির হালনাগাদ নিবন্ধন ও নিয়োগপত্রের কপি অবশ্যই সংরক্ষণ করতে হবে।

এ ছাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিকের ক্ষেত্রে যে কোনো ধরনের অপারেশন বা প্রসিডিউরের জন্য অবশ্যই রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসককে সার্জনের সহকারী হিসেবে রাখতে হবে; কোনো অবস্থাতেই লাইসেন্সপ্রাপ্ত বা নিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক ব্যতীত চেম্বারে অথবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অ্যানেসথেসিয়া প্রদান করা যাবে না। বিএমডিসি স্বীকৃত বিশেষজ্ঞ ছাড়া যেকোনো ধরনের অপারেশন/সার্জারি/ ইন্টারভেনশনাল প্রসেডিউর করা যাবে না। সকল বেসরকারি নিবন্ধিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে লেবার রুম প্রটোকল অবশ্যই মেনে চলতে হবে এবং নিবন্ধিত বা লাইসেন্সপ্রাপ্ত হাসপাতাল, ক্লিনিকে অপারেশন থিয়েটারে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স প্রবেশপথে টানানো, তথ্য কর্মকর্তা নিয়োগ ও লেবার রুম প্রটোকল বাধ্যবাধকতাসহ ১০ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসব নির্দেশনা অবশ্যই পালন করতে হবে বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানটি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877