স্বদেশ ডেস্ক: বগুড়াবাসীর কাছে এক গর্বের নাম এ সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জিনিয়া জাফরিন লুইপা। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে বছরজুড়ে লুইপাকে স্টেজ শো নিয়ে যতটা ব্যস্ত থাকতে হয় সে বিবেচনায় বগুড়ায় স্টেজ শোতে খুব কমই লুইপা অংশ নিয়ে থাকেন। বগুড়ায় বড় কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হলে সাধারণত লুইপাকেই চায় আয়োজক কমিটি বা অনুষ্ঠানের দর্শক। ১০ অক্টোবর বগুড়ার ইয়াকুবিয়া স্কুলের ৮৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী নানা ধরনের অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় গান গাইতে মঞ্চে ওঠেন লুইপা। মঞ্চে উঠেই শুরুতেই এলাকাবাসীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এবং ইয়াকুবিয়া স্কুলে উপস্থিত সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের প্রতি ভালোবাসা প্রর্দশন করে শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা’ গানটি। দেশাত্মবোধক এ গানটির পরপরই লুইপা একে একে পরিবেশন করেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়, জেন্টলম্যান, মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা, সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী, বন্ধু তুই লোকাল বাস, আমি ডানা কাটা পরী, এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’সহ জনপ্রিয় কয়েকটি গান। প্রতিটি গানেই নেচে-গেয়ে লুইপার গায়কিকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলেন সবাই। বারবার যখন লুইপা শেষ গান বলে গান করেন, তখনই সবাই চিৎকার দিয়ে আবারও গান গাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। নিজের এলাকাবাসীর অনুরোধ তাই একবারও ফেলেননি। রাত ৮টা থেকে প্রায় ১০টা পর্যন্ত বিরামহীন গান গেয়ে শোনান লুইপা। এ সময় লুইপার সঙ্গে তার বাবা, মা, তার স্বামী আলমগীর হোসেন, মেয়ে পায়রা, অভিনেত্রী আরজুমান্দ আরা বকুল, বকুলের বান্ধবী ফরিদা শেলীসহ অনেকেই উপস্থিত থেকে ল্ইুপাকে অনুপ্রেরণা দেন। লুইপার সংগীত পরিবেশন শেষে স্কুলের সভাপতি মো. রফি নেওয়াজ খান রবিন বলেন, ‘লুইপা আমাদের গর্ব। আজকের এই সন্ধ্যাকে রাঙিয়ে দেওয়ার জন্য তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’ লুইপা বলেন, ‘নিজ এলাকায় গান গাওয়া যেমন আনন্দের, ঠিক তেমনি গর্বেরও। আবার অনেক ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জেরও বিষয়। ইয়াকুবিয়া স্কুলে এবারের পরিবেশনা দারুণ উপভোগ করেছি। সবাই প্রতিটি গানে যেভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সেটা মনের ভেতর এক অন্যরকম ভালোলাগার সৃষ্টি করেছে।’ অনুষ্ঠান শেষে লুইপা ও তার সঙ্গে থাকা অন্য সবাই লুইপার আন্টি শাহনাজ ইসলাম শিল্পীর শখ রেস্তোরাঁয় খাওয়া-দাওয়া ও আড্ডায় মেতে ওঠেন।