স্বদেশ ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরাইল ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের একতরফা স্বীকৃতির বিরোধিতা অব্যাহত রাখবে।
বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) তিনি এ কথা বলেন।
হিব্রু ভাষায় টুইট করে নেতানিয়াহু বলেন, এই স্বীকৃতি অভূতপূর্ব সন্ত্রাসবাদের জন্য বিশাল পুরস্কার দেবে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইসরাইল স্পষ্টভাবে ফিলিস্তিনিদের সাথে একটি স্থায়ী মীমাংসার বিষয়ে আন্তর্জাতিক নির্দেশ প্রত্যাখ্যান করে।’
এদিকে, ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, ‘বৃহস্পতিবার তারা গাজার দক্ষিণাঞ্চলে হাসপাতালের ভেতর অভিযান চালাচ্ছে।’ অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ‘ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।’
ইসরাইলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সেনাবাহিনীর কাছে বিশ্বাসযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে খান ইউনিসের নাসের হাসপাতালে বন্দী আছে এবং নাসের হাসপাতাল কেন্দ্রে ইসরাইলের বন্দীদের লাশ থাকতে পারে।’
গত সপ্তাহে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘ওই এলাকায় ইসরাইলি স্নাইপারের গুলিবর্ষণের কারণে লোকজনের এলাকা ত্যাগ করা বাধাগ্রস্ত হয়েছে। অন্যদিকে, চিকিৎসকরা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিরাপদ নয় বলে সতর্ক করেছেন।’
ডক্টর্স উইদাউট বর্ডার্স এই আদেশের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, ‘হাসপাতালের কর্মীরা প্রায় অসম্ভব পরিস্থিতিতে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
ইসরাইল পুরো যুদ্ধ জুড়ে গাজা ভূখণ্ডের কিছু অংশ খালি করার জন্য লোকজনকে নির্দেশ দেয়ার ঘোষণার পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য এই সতর্কতা দেয়া হয়েছে।’
ইসরাইলি বাহিনীর প্রত্যাশিত স্থল অভিযানের আগে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এবং নিউজিল্যান্ড রাফায় ফিলিস্তিনিদের জন্য আন্তর্জাতিক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যা সর্বসাম্প্রতিক।’
নেতানিয়াহু রাফা আক্রমণ কখন ঘটতে পারে সে সম্পর্কে কোনো ইঙ্গিত দেননি, তবে বুধবার তিনি বলেছিলেন, ‘তার সেনাবাহিনী গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবে।’
বুধবার নেতানিয়াহুর কার্যালয় আরো বলেছে, ‘সর্বসাম্প্রতিক আলোচনায় হামাস চার মাসব্যাপী যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং গাজায় উগ্রবাদীদের আটকে রাখা ১০০ বা তার বেশি বন্দীর মধ্যে আরো অনেককে মুক্তি দেয়া সংক্রান্ত নতুন কোনো প্রস্তাব দেয়নি। হামাস গাজা থেকে ইসরাইলের সব সেনা প্রত্যাহার এবং উগ্রবাদীদের গাজা শাসন অব্যাহত রাখতে দেয়ার দাবি করে আসছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে বলা হয়েছে, ‘হামাসের অবস্থান পরিবর্তিত হলে আলোচনায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।’
যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।
সূত্র : আল জাজিরা, টাইমস অব ইসরাইল এবং ভয়েস অব আমেরিকা