স্বদেশ ডেস্ক: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সোমবার রাতে এক ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার প্রেক্ষাপটে বুয়েট শিক্ষক সমিতির এক সাধারণ সভা থেকে প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একইসাথে, হত্যাকান্ডের দায় কাঁধে নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। সমিতির প্রেসিডেন্ট ড. একেএম মাসুদ বিবিসিকে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত হয়েছে সর্বসম্মতভাবে। “সভায় ৩শ’ জনের মত শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন, সবাই এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছেন।” কেন তারা এই সিদ্ধান্ত নিলেন, এই প্রশ্নে ড. মাসুদ বলেন, সাধারণ ছাত্রদের দাবির সাথে তারা একাত্বতা ঘোষণা করছেন।
“ছাত্ররা ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধের দাবি করছেন, তাহলে শিক্ষকরা কেন রাজনীতি করবেন?”
অধ্যাপক মাসুদ বলেন, ক্যাম্পাসে অপরাধের সাথে রাজনীতির সরাসরি কোনো সম্পর্ক না থাকলেও, রাজনৈতিক ছত্রছায়ার কারণে অনেক সময় প্রশাসন অপরাধ বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনা। “এমন নয় যে রাজনৈতিক দলগুলো কাউকে মারধোর করতে বলে, নির্যাতন করতে বলে, কিন্তু সরাসরি রাজনীতির কারণে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি দিনে দিনে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। নোংরা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।” বুয়েটে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকেও অনেকাংশে দায়ী করেন বুয়েট শিক্ষক সমিতির প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, “ক্ষমতা অত্যন্ত কেন্দ্রীভূত, উপাচার্য একাই সব সিদ্ধান্ত নেন।” “বিভিন্ন সময়ে ওঠা নানা অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা না নেয়ায় পরিস্থিতি এতদূর গড়িয়েছে।” ওদিকে, বুয়েট অ্যালামনাই সমিতি অর্থাৎ এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষক ও ছাত্র সমিতির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে-বুয়েট ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক দলসমুহের অঙ্গ সংগঠন ভিত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মচারীদের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করতে হবে।