স্বদেশ ডেস্ক:
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (আইআরজিসি) জানিয়েছে, তারা ইরাকের আধা-স্বায়ত্তশাসিত কুর্দি অঞ্চলে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সদর দপ্তরে হামলা করেছে। এছাড়া সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসের বিরুদ্ধেও হামলা করা হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি, সোমবার রাতে দেশটির রাষ্ট্রীয় মিডিয়া এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
আইআরজিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইহুদিবাদী শাসকের সাম্প্রতিক নৃশংসতার প্রতিক্রিয়ায় এবং বিপ্লবী গার্ড ও প্রতিরোধের অক্ষের কমান্ডারদের হত্যার কারণে ইরাকের কুর্দি অঞ্চলে মোসাদের প্রধান গোয়েন্দা সদর দপ্তর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।’
বার্তা সংস্থা রয়টার্স ইরানি মিডিয়ার এই প্রতিবেদনটি স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি। এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেনি রয়টার্স।
১৬ জানুয়ারি, মঙ্গলবার ইরাক এই হামলার জন্য নিন্দা জানিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরবিলে ইরানের আগ্রাসনের নিন্দা জানাচ্ছি। এর ফলে আবাসিক এলাকায় বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ইরাকের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের নিরাপত্তার লঙ্ঘন বলে বিবেচিত হবে এ ধরনের সমস্ত পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে ইরাকি সরকার। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদেও অভিযোগ দায়ের করা হবে।
সোমবার গভীর রাতে কুর্দিস্তানের রাজধানী ইরবিলে হামলার পাশাপাশি সিরিয়াতেও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। সিরিয়ায় আইএসকে লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছে আইআরজিসি।
গত মাসে সিরিয়ায় আইআরজিসির তিন সদস্যকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে একজন সিনিয়র গার্ড কমান্ডারও ছিলেন। তিনি সেখানে সামরিক উপদেষ্টা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এই হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইরান।
আইআরজিসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা আমাদের জাতিকে আশ্বস্ত করছি যে শহীদদের রক্তের শেষ বিন্দুর প্রতিশোধ না নেওয়া পর্যন্ত গার্ডদের আক্রমণাত্মক অভিযান অব্যাহত থাকবে।’
৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরু হয়। এরপর লেবানন সীমান্তেও ইরানপন্থী হিজবুল্লাহ গ্রুপের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ইসরায়েল। এর ফলে এ পর্যন্ত ১৩০ জনের বেশি হিজবুল্লাহ যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
এদিকে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরবিলে হামলার নিন্দা করেছে। এই হামলাকে ‘বেপরোয়া’ বলে অভিহিত করেছে। তবে কর্মকর্তারা বলেছেন, হামলার সময় কোনো মার্কিন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। এছাড়া কোনো মার্কিন সেনা হতাহতও হয়নি।
সূত্র: রয়টার্স