বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন

দেশকে কখনোই পরাজিত শক্তির দোসরদের হাতে তুলে দেয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

দেশকে কখনোই পরাজিত শক্তির দোসরদের হাতে তুলে দেয়া হবে না : প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারী ও রেললাইনের ফিশপ্লেট উপড়ে ফেলার সাথে জড়িতদের একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর হিসেবে বর্ণনা করে দেশকে তাদের হাতে তুলে না দেয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যারা অগ্নিসংযোগ করছে এবং রেললাইনের ফিশপ্লেট তুলে ফেলছে তারা পরাজিত শক্তির (একাত্তরের) দোসর। আমরা কখনোই পরাজিত শক্তির হাতে দেশকে তুলে দেব না।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা এদেশে জ্বালাও-পোড়াও অগ্নিসংযোগ করে, রেললাইনের ফিসপ্লেট তুলে ফেলে এরা তো পরাজিত শক্তির দালাল, পরাজিত শক্তির দোসর। কাজেই এদেরকে না বলুন। এদের বাংলাদেশের রাজনীতি করারই কোনো অধিকার নেই। খুনি, সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী, দুর্নীতিবাজ এদের বাংলাদেশে কোনো স্থান নেই।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ, বাংলাদেশের মানুষ তাদের অধিকার, ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। তারা সেই ভোটের অধিকার প্রয়োগ করবে। তারা শান্তিতে বাস করবে। উন্নত জীবন পাবে সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

তিনি বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘আমরা এই দেশকে আর কখনো এই পরাজিত শক্তির হাতে তুলে দেব না।’

‘বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে চলবে এবং বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ী জাতি হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্বে মাথা উঁচু করে চলবে, শহীদদের কাছে এটাই আমাদের অঙ্গীকার,’ যোগ করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে মানুষ সেবা পায়। এখন তো মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা প্রতিটি মৌলিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি। আজকে বিশ্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। আর এই সম্মানটা দিতে পারে না আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্গার। ’৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেমন ওই হানাদার বাহিনীর দোসর যারা ছিল এরাই তাদের প্রেতাত্মা হয়ে মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। আর মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমার একটা আবেদন থাকবে প্রত্যেকটি এলাকায় যেখানে রেললাইন আছে যানবাহন চলাচল করছে সেখানে যখন কোন ঘটনা ঘটাবে সাথে সাথে জনগণ যদি মাঠে নামে এরা হালে পানি পাবে না। কাজেই আমি জনগণের কাছে আহ্বান জানাবো- সকলকে সাবধান থাকতে হবে। কারণ, এরা কেবল ধ্বংস করতে জানে এরা কোনোকিছু সৃষ্টি করতে জানে না। এরা কেবল মানুষ খুন করতে পারে মানুষের জীবনের শান্তি ও নিরাপত্তা দিতে পারে না। এরা মানুষের সর্বনাশ করতে পারে কিন্তু মানুষের জীবনটাকে উন্নত করতে পারে না। আর কোথাও এ ধরনের রেলের ফিসপ্লেট তুলে ফেলা বা রেললাইন তুলে ফেলা, আগুন দেয়া-যখনই যে করতে যাবে সরাসরি তাদেরকে ধরতে হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। রেলে চড়ে মানুষ যাবে সেখানে রেললাইন তুলে ফেলে দিয়ে মানুষ হত্যা করবে, তারা আবার কথা বলে কোন মুখে?’

‘হত্যাকারীরা কখনো গণতন্ত্র দিতে পারে না। এটা দেশের মানুষকে বুঝতে হবে,’ বলেন তিনি।

তিনি বলেন, আজকে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমরা আমাদের অনেক বুদ্ধিজীবীদেরকে হারিয়েছি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি, তাদের আত্মার শান্তি কামনা করি। আর শহীদের রক্ত কোনোদিন বৃথা যায় না। বৃথা যায়নি। আজকের বাংলাদেশ এই ১৫ বছরে বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি এবং সেই উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সহ-সভাপতি যথাক্রমে শেখ বজলুর রহমান ও নুরুল আলম রুহুল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শহীদ বুদ্ধিজীবী ফয়জুর রহমান আহমেদের ছেলে ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা: আলিম চৌধুরীর মেয়ে অধ্যাপক ডা: নুজহাত চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’ গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত অংশ পাঠ করেন।

আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং সহ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম।

সূত্র : বাসস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877