শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:০০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ফোর্বসের তালিকায় ৯ বাংলাদেশি বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা একসময় বিশ্বে রোল মডেল হবে চাহিদার চেয়ে ২৩ লাখ কোরবানির পশু বেশি আছে : মন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এডিপির সর্বোচ্চ ৩৮৮০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ পাচ্ছে এলজিইডি বিদেশী সাহায্যপ্রাপ্ত প্রকল্পগুলো দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর দুবাইয়ে বিদেশীদের গোপন সম্পদের পাহাড়, তালিকায় ৩৯৪ বাংলাদেশীও সেলিম প্রধানকে জরিমানা, প্রার্থিতা বাতিলের নির্দেশ বহাল ফের আটকে গেলো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের অর্থ ছাড় উপজেলা নির্বাচন জনগণের সাথে প্রতারণা করার নির্বাচন : রিজভী মালয়েশিয়ার হুমকি : হামাস নেতাদের সাথে আনোয়ারের ছবি ফেরাল ফেসবুক
ওবায়দুল কাদেরের পেশা পরিবর্তন, সম্পদ বেড়েছে ১৩ গুণ

ওবায়দুল কাদেরের পেশা পরিবর্তন, সম্পদ বেড়েছে ১৩ গুণ

স্বদেশ ডেস্ক:

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পেশা ছিল লেখালেখি ও সাংবাদিকতা। ১৫ বছর পরে সেই পেশা পরিবর্তন করে এখন তিনি বেসরকারি চাকরিজীবী। এই সময়ে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৩ গুণের বেশি। এ ছাড়া তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ২ গুণের বেশি। আর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা এবং সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী বিনিয়োগও বেড়েছে তাদের।

নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এতে দেখা যায়, ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ২৪ লাখ ৪৮ হাজার ৯৫ টাকা। তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ছিল ৪৮ লাখ ৮১ হাজার ৫২২ টাকা। ১৫ বছর পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০২৩ সালে ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পত্তি হয়েছে ৩ কোটি ২২ লাখ ৮৪ হাজার ৮৯৮ টাকা এবং তার স্ত্রীর অস্থাবর সম্পত্তি ১ কোটি ২৮ লাখ ৪২ হাজার ৪৬৪ টাকা।

২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যায়, তার পেশা ছিল লেখালেখি ও সাংবাদিকতা। লেখালেখি থেকে তার আয় ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। তার আইনজীবী স্ত্রীর আয় ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া হলফনামায় পেশায় দেখানো হয় বেসরকারি চাকরি (বর্তমানে এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে বেতন ভাতা পাই এবং বই ও পত্রপত্রিকায় আয় করি)। এর বাইরে তার আয়ের উৎস বাড়ি ভাড়া, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত।

ওবায়দুল কাদেরের বাৎসরিক আয় দেখানো হয়েছে ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৫০৮ টাকা। তার মধ্যে বাড়ি ভাড়া থেকে ১৪ লাখ ২৪ হাজার ৯২৪ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র-ব্যাংক আমানত থেকে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ২৮৪ টাকা, এমপি ও মন্ত্রী হিসেবে বেতন ভাতা ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও বই লিখে আয় ৪ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা উল্লেখ করেছেন। তার ওপর নির্ভরশীলদের আয় ১২ লাখ ২৩ হাজার ৫১২ টাকা।

২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পদের প্রায় সবকিছুই জব্দ ছিল। ব্যাংকে তার জমা ছিল প্রায় ৪ লাখ ৮৮ হাজার এবং স্ত্রীর নামে ছিল সাড়ে ৬৯ হাজার টাকা। দুটি হিসাবই জব্দ করা ছিল। বর্তমানে ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংকে জমার পরিমাণ প্রায় ৭৫ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে প্রায় ৫১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। নিজের কাছে নগদ ৮০ হাজার ও স্ত্রীর কাছে ৭০ হাজার টাকা রয়েছে।

১৫ বছর আগে ওবায়দুল কাদেরের বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ছিল সাড়ে ১৫ লাখ টাকা এবং স্ত্রীর বিনিয়োগ ছিল ৪২ লাখ। এসব বিনিয়োগও জব্দ ছিল। বর্তমানে কাদেরের সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ আছে প্রায় ১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে বিনিয়োগ আছে ৭৩ লাখ টাকা।

১৫ বছর আগে ওবায়দুল কাদেরের নিজের কোনো গাড়ি ছিল না। বর্তমানে ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাড়ি রয়েছে তার। কাদেরের স্ত্রীর নামে আগে একটি গাড়ি ছিল, সেটি বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের একটি শটগান ও একটি পিস্তল ছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে শটগান ও পিস্তলটি বিক্রি করে দেওয়া হয়।

ওবায়দুল কাদেরের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে রয়েছে উত্তরায় একটি ৫ কাঠার প্লট। স্ত্রীর নামে রয়েছে ১ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট। এ ছাড়া যৌথ মালিকানায় (পৈতিৃক সম্পত্তি) ৪ দশমিক ৭৪ একর ২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মামলা ছিল ১৯টি। এর মধ্যে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনে একাধিক মামলা ছিল। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। আগের মামলাগুলো থেকে তিনি অব্যাহতি পেয়েছেন, কিছু মামলা খারিজ হয়েছে।কৃষিজমি আছে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877