স্বদেশ ডেস্ক:
নতুন জোট তৈরি করায় বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকে ‘মীরজাফর’ ও ‘বিশ্বাসঘাতক’ আখ্যা দিয়েছেন ১২ দলীয় জোট নেতারা।
আজ বুধবার ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ পর্যায়ের জরুরি সভা শেষে এক প্রতিক্রিয়ায় জোটের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়।
১২ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ মুসলিম লীগ জোট থেকে বেরিয়ে গেছে। যুক্তফ্রন্ট নামের নতুন একটি রাজনৈতিক জোটে দল দুটি যুক্ত হয়েছে। এরপর জরুরি বৈঠকে ওই দল দুটিকে ১২ দলীয় জোট থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ১২ দলীয় জোট জানায়, ‘সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বহুমাত্রিক রূপ ধারণ করে আন্দোলনের নামে সরকারি সুবিধা গ্রহণ করেছেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের অবৈধ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি দেশ, দেশের মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে বেইমানি করেছেন। তার এই ভূমিকাকে রাসপুটিন এর সাথে তুলনা করা যায়। দেশের এই দুঃসময়ে জনগণের সাথে তার বেইমানি করা একজন মীরজাফর ও বিশ্বাসঘাতক বলে ভবিষ্যতে বিবেচিত হবে।’
এতে আরও বলা হয়, ‘১২ দলীয় জোটের ঐক্য অটুট আছে এবং আমরা গণতন্ত্রের লড়াইয়ে একত্রিত আছি। বরং বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি এবং মুসলিম লীগের নেতাকর্মীরা তাদের দলের নেতার সিদ্ধান্তকে অমান্য করে আমাদের সাথে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।’
জোটের মুখপাত্র সেলিম, প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ
জরুরি সভায় সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের স্থলে বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে ১২ দলীয় জোটের নতুন মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়। জোটের প্রধান সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা গ্রেপ্তার ও কারাগারে বন্দী থাকায় জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধানকে ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক করা হয়েছে।