স্বদেশ ডেস্ক: গুরুত্বপূর্ণ সফরে খেলোয়াড়রা বিদেশ গেলে তাদের সঙ্গে বান্ধবী বা স্ত্রীকে সঙ্গে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয় না বেশিরভাগ সময়ই। মনে করা হয়, এতে খেলায় মনোযোগ দিতে পারবেন না তারা। তবে এমন যারা ভাবেন, তাদের এবার এক হাত নিলেন ভারতের টেনিস সেনসেশন সানিয়া মির্জা। তার মতে, বান্ধবী বা স্ত্রী সঙ্গে থাকলে ছেলেরা বরং আরো ভালো খেলতে পারে। সানিয়া মির্জা নিজে খেলোয়াড়, বিয়ে করেছেন আরেক খেলোয়াড়-পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে। স্বভাবতই এমন কথা শুনতে হয় সানিয়াকেও। বিশ্বকাপে শোয়েব মালিক নিজেকে মেলে ধরতে না পারায় তার জন্য পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেট-ভক্ত সানিয়া মির্জার ওপর দায় চাপিয়ে দিয়েছিলেন। একইরকম দেখা যায়, তারকা জুটি বিরাট কোহলি আর আনুশকা শর্মার বেলায়। কোহলি যখন ভালো করেন, তখন স্ত্রী আনুশকাকে কেউ কৃতিত্ব দেন না।
কিন্তু একটু খারাপ করলেই উঠে আসে বলিউড অভিনেত্রীর নামটি। এই বিষয়টিও চোখ এড়ায়নি সানিয়ার। নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে মহিলা দ্বৈত টেনিস র্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এক নম্বর খেলোয়াড় সানিয়া মির্জা বলেন, ‘বিরাট যদি শূন্য রান করে, তা হলে আনুশকা শর্মাকে দায়ী করা হয়। বিরাটের শূন্য করার সঙ্গে আনুশকার কী সম্পর্ক? এর কোনো অর্থ হয় না।’
খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিদেশ সফরে স্ত্রী বা গার্লফ্রেন্ডকে নেয়ার ক্ষেত্রে যে বিধিনিষেধ, তার সমালোচনা করে মহিলা দ্বৈত ও মিশ্র দ্বৈতে ৬টি শিরোপাজয়ী টেনিস তারকা সানিয়া বলেন, ‘অনেক দলের ক্ষেত্রেই দেখি, যার মধ্যে ক্রিকেট দলও রয়েছে, যে স্ত্রী বা বান্ধবীকে সফরে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি নেই। তাতে দলের ছেলেদের মনঃসংযোগ নষ্ট হবে। এর অর্থ কী? মেয়েরা এমন কী করে যে, ছেলেদের মনঃসংযোগে ব্যঘাত ঘটবে? আসলে এই ধারণাটা একটা গভীর সমস্যা থেকে উঠে এসেছে। যেখানে বলা হয়, মহিলারা মন বিক্ষিপ্ত করে দেয়, সে কখনও শক্তি হয়ে উঠতে পারে না।’ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের হারের জন্য তাকে দায়ী করা নিয়ে প্রশ্ন করলে সানিয়া বলেন, ‘আমি তো ও দেশের মেয়েই নই, আমার আর কী ক্ষমতা থাকতে পারে!’ বরং পরিবার সঙ্গে থাকলে খেলোয়াড়দের কি সুবিধা হয়, তার ব্যাখ্যা দিলেন সানিয়া। ভারতীয় টেনিস-কন্যা বলেন, ‘ওদের আর শূন্য ঘরে ফিরে আসতে হয় না তখন। একসঙ্গে নৈশভোজেও যেতে পারে। স্ত্রী বা সঙ্গিনী সঙ্গে থাকলে সেটা সেই খেলোয়াড়কে আরো সমর্থন, ভালোবাসা দেয়।’