স্বদেশ ডেস্ক:
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা থেকে তারা একজন নারী ইসরায়েলি সেনাকে উদ্ধার করেছে। তবে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরায়েলের এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, তাদের এ দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন। খবর আল জাজিরা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, সেনাবাহিনীর নারী সদস্য ওরি মেগিদিশকে গত ৭ অক্টোবর হামাস আটক করে গাজায় নিয়ে গিয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী স্থল অভিযানের সময় তাকে মুক্ত করে। মুক্তির সময় সে সুস্থ ছিল। তারপরও ডাক্তারি পরীক্ষা করে তার সুস্থতা পুরোপুুরি নিশ্চিত করা হয়। পরে সে তার পরিবারের সঙ্গে দেখা করে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি ছবি প্রকাশ করা হয়, যাতে মেগিডিশকে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা যায়।
তবে হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এই দাবিকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এর আগে এক ভিডিওতে তিন বন্দী তাদের মুক্তির জন্য ইসরায়েলি সরকারের প্রতি কিছু করার যে আহ্বান জানিয়েছিল, সেদিক থেকে দৃষ্টি ফেরাতে ভিত্তিহীন এই দাবি করা হচ্ছে।
হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল-রিশক বলেন, ইসরায়েল সরকারের এসব বক্তব্য কেউ বিশ্বাস করে না। এমনকি সাধারণ ইসরায়েলিরাও না।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলি ট্যাংকের উপস্থিতি ছিল তাদের সেনাবাহিনীর মর্যাদা ফিরে পাওয়ার দাবি প্রতিষ্ঠা করার জন্য, একটি ছবি তোলার সুযোগমাত্র, এমন দাবি করে হামাসের মুখপাত্র আবদুল লতিফ-কানু বলেন, সোমবার সকালে বিমান ও ট্যাংকের গোলাবর্ষণের আড়ালে সীমিত সংখ্যক ইসরায়েলি ট্যাংক গাজা সিটির উপকণ্ঠে প্রবেশ করেছিল।
গত সোমবার হামাস একটি ভিডিও প্রচার করে, যেখানে তিন ইসরায়েলি বন্দী চলমান এই সংঘাতের জন্য নেতানিয়াহুর সরকারকে দায়ী করেছিল। তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই ভিডিওকে নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক প্রচার বলে নিন্দা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি সব অপহৃত ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সম্ভব সবকিছু করার প্রতিশ্রুতি দেন।