স্বদেশ ডেস্ক:
রাশিয়াকে অস্ত্র বেচলে তার পরিণাম ভালো হবে না। কিম জং উনকে কড়া বার্তা যুক্তরাষ্ট্রের।
চলতি মাসেই উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং উন রাশিয়া সফরে যেতে পারেন বলে মার্কিন গোয়েন্দা দফতরের খবর। তারই জেরে উত্তর কোরিয়াকে কড়া বার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বার্তা নয়, সরাসরি আক্রমণের হুমকি দিয়েছে হোয়াইট হাউস।
হোয়াইট হাউস বলেছে, উত্তর কোরিয়াকে আন্তর্জাতিক নীতি মেনে চলতে হবে। তারা কখনোই অন্য কোনো রাষ্ট্রকে অস্ত্র বেচতে পারে না। রাশিয়াকে অস্ত্র বেচার অর্থ নিরাপরাধ ইউক্রেনীয়দের হত্যায় শামিল হওয়া। উত্তর কোরিয়া একাজ করলে তাকে তার ফল ভুগতে হবে।
হোয়াইট হাউসের এনএসএ জেক সুলিভান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যেই বিশ্বের মঞ্চে কোণঠাসা। তাদের কার্যত কোনো বন্ধু নেই। এই পরিস্থিতিতে রাশিয়াকে অস্ত্র বেচলে কঠিন দাম চোকাতে হবে।
সুলিভানের কথায়, ‘আমরা যা খবর পেয়েছি, তাতে কিম জং উন মস্কো গিয়ে পুটিনের সঙ্গে দেখা করবেন বলেই জানা গেছে। একাজ করলে তার ফল ভালো হবে না।’
রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবার রাশিয়াও এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘এবিষয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।’ বস্তুত, ক্রেমলিনের বক্তব্য, কিমের আসার বিষয়ে তারা এখনো পর্যন্ত কোনো খবর পায়নি। তবে খবরটিকে ভুয়া বলে উড়িয়েও দেয়নি তারা।
২০২০ সালে দেশের সীমান্ত সিল করে দিয়েছিলেন কিম। এরপর দেশে কাউকে ঢুকতেও দেননি, নিজেও অন্য কোনো দেশে যাননি। ফলে ২০২০ সালের পর এই প্রথম অন্য দেশে বৈঠক করতে যাবেন কিম। এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার মস্কো গিয়ে পুতিনের সাথে বৈঠক করেছিলেন কিম। তার দুই মাস আগে ট্রাম্পের সাথে পরমাণু চুক্তি ভেস্তে গেছে তার।
ভাগনার নিয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান
এদিকে মঙ্গলবারই রাশিয়ার বেসামরিক সেনাবাহিনী ভাগনারকে সন্ত্রাসী সংগঠন বলে চিহ্নিত করার পরিকল্পনা নিয়েছে যুক্তরাজ্যে। কোনো ব্যক্তি ভাগনারে যোগ দিলে অথবা তাকে সমর্থন করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রশাসন।
বুধবারই এই সংক্রান্ত বিল পার্লামেন্টে পেশ হওয়ার কথা। পরিস্থিতি যা তাতে পার্লামেন্টে তা পাশ হয়ে যাবে বলেও মনে করা হচ্ছে। বিলের বলা হয়েছে, ভাগনার লুঠ, হত্যা এবং অত্যাচারের সাথে যুক্ত। ইউক্রেন এবং আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে তারা যা করছে, তা সন্ত্রাসের নামান্তর। এ কারণেই সংগঠনটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করতে চায় যুক্তরাজ্য।