স্বদেশ ডেস্ক:
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক দশক ধরে তার ‘ফিন্যান্সিয়াল ডিসক্লোজার’ ফর্মে তার নিট সম্পদের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বাড়িয়ে দেখিয়ে নানা সুবিধা গ্রহণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমস। বুধবার আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে তিনি দাবি করেন, ট্রাম্প একটি বছরেই অতিরঞ্জিতভাবে ২.২ বিলিয়ন ডলার আয় দেখিয়েছেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, তার কোম্পানি ট্রাম্প অর্গ্যানাইজেশন এবং তার দুই সন্তান এরিক ও ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়রের বিরুদ্ধে ‘অবাক করা’ প্রতারণাবিষয়ক ২৫০ মিলিয়ন ডলারের মামলার অংশ করার জন্য বিচারকের কাছে নতুন দাবি নিয়ে আর্জি দাখিল করেছেন জেমস।
এক দশক ধরে সম্পদ বাড়িয়ে দেখানোর কথিত মিথ্যা দাবি করে ট্রাম্প, ৭৭, অনুকূল শর্তে ঋণ ও বিমা সুবিধা নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিস থেকে আদালতে দাখিল করা নথি অনুযায়ী, ট্রাম্পের সত্যিকারের সম্পদের পরিমাণ ১৭ থেকে ৩৯ ভাগ, তথা ৮১২ মিলিয়ন ডলার থেকে ২.২ বিলিয়ন ডলার। তিনি ২০১১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত আর্থিক অবস্থা নিয়ে বার্ষিক যেসব প্রতিবেদন দাখিল করেছেন, তার চেয়ে এটি অনেক কম।
আদালতে দাখিল করা নথিতে উদাহরণ হিসেবে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে ট্রাম্পের ‘ডিসক্লোজার ফর্মে’ তার সম্পদের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৫.৭৭ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাস্তবে তখন তার সম্পদের পরিমাণ ছিল ২.২ বিলিয়ন ডলারের কম।
এই মামলার বিচার শুরু হওয়র কথা অক্টোবরে। তবে জেমসের অফিস থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে যে বিচারক অন্তত একটি প্রতারণা মামলার ব্যাপারে আরো আগেই রায় ঘোষণা করতে পারেন।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার সম্পদের পরিমাণ নিয়ে আরো কিছু প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ট্রাম্প বলেছেন যে তার ৪০ ওয়াল স্ট্রিট প্রপার্টির দাম ২০১৩ সালে ছিল ৫৩০ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু এজি অফিস থেকে বলা হয়েছে, এর এক বছর আগে এর দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ২২০ মিলিয়ন ডলার।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে ট্রাম্পের আইনজীবীদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা সব মামলায় তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।