স্বদেশ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্ত্রীকে তালাক দিতে রাজি না হওয়ায় মিল্টন হোসেন নামের এক যুবককে শিকলে বেঁধে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে তাড়াশ পৌর এলাকার রঘুনিলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
শিকলবন্দি মিল্টন হোসেন ওই গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। আর তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার ধুলিরচর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে।
গতকাল শুক্রবার রাবেয়া খাতুনের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির বারান্দায় লোহার শিকলে মিল্টনকে বেঁধে রাখা হয়েছে। তার দুই হাত, দুই পা ও কোমরে শিকল দিয়ে বাঁধা। পৃথক তিনটি শিকলে ঝুলছে বড় বড় তিনটি তালা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শিকলবন্দি মিল্টন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে মা-বাবা ও বোন মিলে আমাকে নির্যাতনের পর বেঁধে রেখেছেন। স্ত্রীকে তালাক দিতে মা-বাবা প্রায়ই চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাতে রাজি না হওয়ায় সবাই মিলে আমাকে এভাবে নির্যাতন চালায়।’
তবে মিল্টনের বাবা ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমার ছেলে মাদকাসক্ত। তাই তার নির্যাতন ঠেকাতে বেঁধে রাখা হয়েছে।’
ছেলের তালাকের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসমাইল হোসেন বলেন, মিল্টন স্ত্রীকে একবার তালাক দিয়ে আবারও বিয়ে করায় তাদের মধ্যে বনিবনা নেই।