শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী

আগামী সপ্তাহে চীন সফরে যাচ্ছেন মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো আগামী সপ্তাহে চীন সফর করবেন।

বেইজিং এবং ওয়াশিংটন মঙ্গলবার জানিয়েছে, বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে উত্তেজনা কমানোর জন্য সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মার্কিন কর্মকর্তারা ধারাবাহিকভাবে চীন সফর করছেন।

ওয়াশিংটন বলেছে, বাণিজ্য থেকে মানবাধিকার এবং তাইওয়ানের বিষয় নিয়ে দুই শক্তির মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বে চীনের সাথে শীতল সম্পর্ককে আরো সহজ করতে চাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রনালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বাণিজ্যমন্ত্রী রাইমন্ডো মার্কিন-চীন বাণিজ্যিক সম্পর্ক, মার্কিন ব্যবসার মুখোমুখি হওয়া চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলোর বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনার জন্য উন্মুখ।’

ওয়াশিংটন জানিয়েছে, ২৭ থেকে ৩০ আগস্টের এই সফরে তিনি বেইজিং ও সাংহাই উভয়ই নগরীতেই যাবেন।

বেইজিংও এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, রাইমন্ডোকে তার চীনা প্রতিপক্ষ ওয়াং ওয়েনতাও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ওয়াশিংটন বলেছে, তার সফরটি গত বছর বালিতে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং জো বাইডেনের মধ্যে আলোচিত ‘বিভিন্ন বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পিআরসির মধ্যে যোগাযোগ গভীরতর করার’ বিষয়ে একটি চুক্তির ভিত্তি তৈরি করবে।

ওয়াশিংটন এবং বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্ক কয়েক দশকের মধ্যে তাদের সবচেয়ে খারাপ স্তরে নেমে গেছে।

ওয়াশিংটন বলছে, তার বিধি নিষেধ গুলো জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বেইজিং এটিকে তাদের অর্থনৈতিক উত্থানে বাধা হিসেবে দেখে।

মঙ্গলবার একটি ব্রিফিংয়ে, হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেছেন, ‘চীনের কিছু কণ্ঠের দাবির বিপরীতে যে আমরা চীনের অর্থনীতিকে মন্থর করতে চাচ্ছি বা চীনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দুর্বল করতে চাচ্ছি, এটা ঠিক নয়।’

জ্যাক সুলিভান, ‘একটি স্থিতিশীল চীনা অর্থনীতি বিশ্বের জন্য একটি ভালো জিনিস।’

তিনি বলেন, রাইমন্ডো এই বার্তা বহন করবেন যে ওয়াশিংটন চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাচ্ছে না বরং ‘ঝুঁকি কম’ করতে চাচ্ছে, যার অর্থ তার জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা।

এই মাসে বাইডেন চীনের স্পর্শকাতর উচ্চ-প্রযুক্তি অঞ্চলে নির্দিষ্ট কিছু আমেরিকান বিনিয়োগকে সীমাবদ্ধ করার লক্ষে একটি নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এই পদক্ষেপকে বেইজিং ‘বিশ্বায়ন বিরোধী’ বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।

সেমিকন্ডাক্টর এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মতো খাতগুলোকে লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্রের এই দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বিধি নিষেধ আগামী বছর বাস্তবায়িত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন গত মাসে বেইজিং সফরের সময় প্রত্যাশিত নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে চীনা কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে কোনো নতুন পদক্ষেপ স্বচ্ছ উপায়ে বাস্তবায়িত হবে।

তিনি স্বাস্থ্যকর অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতা এবং উন্নত যোগাযোগের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট মারাত্মক হুমকির বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877