স্বদেশ ডেস্ক:
গৃহবধূ মিনু বেগমকে (২৭) হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে লাশ গুম করার ঘটনায় জড়িত স্বামী উজ্জ্বল শেখকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ মঙ্গলবার সকালে ফরিদপুরে র্যাব-১০ এর কোম্পানি অধিনায়ক লে. কমান্ডার কে এম শাইখ আকতার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে এ ঘটনায় উজ্জ্বল শেখের মা ও নিহতের শাশুড়ি জহুরা বেগমকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত উজ্জ্বল শেখ রাজবাড়ি জেলার বালিয়াকান্দি থানার তেতুলিয়া গ্রামের মো: কুদ্দুস শেখের ছেলে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব জানায়, গত ৩ আগস্ট থেকে নিখোঁজ ছিলেন উজ্জ্বল শেখের স্ত্রী মিনু বেগম। এরপর গত শনিবার (১৯ আগস্ট) তেতুলিয়া গ্রামে উজ্জ্বল শেখের বাড়িতে লাশ পঁচা তীব্র দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ খোঁজাখুঁজির পর ওই বাড়ির টয়লেটের স্লাব সরিয়ে সেপটিক ট্যাংক থেকে মিনু বেগমের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় নিহতের মা সোনা বানু (৫৮) মিনুর স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে বালিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব কমান্ডার জানান, ১২ বছর আগে উজ্জ্বল শেখ ও মিনু বেগমের বিয়ে হয়। তবে তাদের কোনো সন্তান না হওয়ায় উজ্জ্বল প্রথম স্ত্রীকে না জানিয়েই রাবেয়া (৩০) নামে আরেক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে। পরে বিয়ের বিষয়টি জেনে গেলে মিনুর সাথে উজ্জ্বলের কলহের সৃষ্টি হয়। এর জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় নিহতের স্বামী উজ্জ্বল শেখকে শহরের রাজবাড়ি রাস্তার মোড় থেকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে ও পারিবারিক কলহের কারণে মিনু বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ সেপটিক ট্যাংকে গুম করে তার নিখোঁজের রটনা প্রচার করে উজ্জ্বল ও তার পরিবারের লোকেরা। তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি উজ্জ্বল শেখ মিনু বেগমকে হত্যার পর লাশ সেপটিক ট্যাংকে গুম করার কথা স্বীকার করেছেন।