স্বদেশ ডেস্ক:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ থাকলেও উদ্ধার হওয়া ট্রলারে কোনো লাশ পাওয়া যায়নি।
রোববার (৬ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ঢাকা অঞ্চলের ডুবুরি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আলভী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত সাতজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে, নিহত পপি ও এপির পরিবারের সদস্য ইউসুফ ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে ধাক্কা দেয়া বাল্কহেড এমএল ইত্তেহাদ ইশাদের চালক ও মালিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আব্দুল আউয়াল তিনজন নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে আটজনের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি সঠিক নয়, নিহতের আত্মীয়রা সাতজনের লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত নিখোঁজদের সন্ধান করা হবে। নদীতে স্রোতের কারণে নিখোঁজদের লাশ ভেসে যেতে পারে। রোববার (৬ আগস্ট) সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন নৌবাহিনীর ডুবুরি দলের সদস্যরা। নিহতদের মধ্যে পপি (৩৫) স্বামী আফসার উদ্দিন, এপি আক্তার (৩০), স্বামী জাহাঙ্গীর, পপি ও এপি তারা দুই বোন ছিলেন।
বাকিরা হলেন সাজিবুল (৫), সাকিবুল (১০), ফারিয়ান (৮), মোকসেদা (৪০), হুমায়রা (৫)।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক সাইদা তাপসী রাবেয়া লোপা বলেন, মুন্সীগঞ্জের পদ্মা নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। সকালে তারা অভিযানে অংশ নেন।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে পিকনিকের একটি ট্রলারের সাথে বালুবাহী বাল্কহেডের সংঘর্ষের হয়। এতে ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলারে থাকা ৪৬ যাত্রীর মধ্যে দুর্ঘটনার পর আটজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ৩৪ জনকে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ আছেন তিনজন। খিদিরপুর গ্রামের মাহিন (১৩), নাফা (১০), তুরান (৯)।
অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজলার রসকাঠি এলাকার পদ্মার শাখা নদী গৌরগঞ্জ খালে শনিবার ৫ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় সিরাজদিখানের লতুব্দি এলাকার পিকনিকের ট্রলার ডুবে সাতজন নিহত হশ। নিহতদের পরিবারের মাঝে এখন শোকের মাতম চলছে। নিহতের রূহের মাগফেরাত কামনায় সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শরিফুল আলম তানভীর দোয়াও মোনাজাতের আয়োজন করেন। রোববার ৬ আগস্ট বাদ জোহর উপজেলা মডেল মসজিদের এ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান। এ সময় মুসল্লিসহ উপজেলা বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও কর্মচারি এই দোয়াও মোনাজাতে অংশ গ্রহণ করেন।