মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:২৭ পূর্বাহ্ন

একই ফ্যানে ঝুলছে স্ত্রী-স্বামীর লাশ

একই ফ্যানে ঝুলছে স্ত্রী-স্বামীর লাশ

স্বদেশ ডেস্ক:

রাজধানীর পূর্ব রামপুরায় একটি বাসা থেকে ফ্যানে ঝুলে থাকা অবস্থায় স্ত্রী ও স্বামীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিতাস রোডের একটি টিনশেড ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ভোরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

মৃত দম্পতি হলেন দিনমজুর জুয়েল (২৮) ও তার স্ত্রী গৃহপরিচারিকা নাসরিন আক্তার (২২)। দু’জনেই গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি স্বজনদের। জুয়েলের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তার বাবার নাম আজাদুর খন্দকার। আর নাসরিনের বাড়ি কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায়। তার বাবার নাম সিদ্দিকুর রহমান।

স্বজনরা জানান, সাড়ে তিন বছর আগে জুয়েল ও নাসরিনের বিয়ে হয়। তাদের একটি সন্তান হলেও ৯-১০ মাস আগে সে সন্তান মারা যায়।

মৃত নাসরিনের বড় ভাই টিটু মিয়া জানান, আট-নয় মাস ধরে পূর্ব রামপুরার তিতাস রোডে নোয়াখালী বাড়িতে ভাড়া থাকতেন জুয়েল ও নাসরিন। পাশাপাশি ঘরে ভাড়া থাকেন টিটু মিয়া। এক সপ্তাহ যাবৎ নাসরিন জ্বরাক্রান্ত ছিলেন।

তিনি জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে তিনি কাজ থেকে বাসায় ফেরেন। তখন তার স্ত্রী ও মেয়ের কাছে জানতে পারেন, দুপুরের পর থেকে নাসরিন এবং জুয়েলকে তাদের রুমের দরজা খুলতে দেখেননি তারা। রান্না করতেও দেখেননি। তখন টিটু মিয়া তাদের ডাকাডাকি করেন। তবে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে কৌশলে তাদের রুমের দরজা খুলেন। এরপর ভেতরে ঢুকে দেখেন একটি ফ্যানের সাথে দু’টি ওড়না বেঁধে জুয়েল ও নাসরিন গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন। সাথে সাথে তারা থানায় খবর দেন। দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর সিআইডির টিম যায়। তারাই ঝুলন্ত অবস্থা থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

টিটু মিয়া জানান, নাসরিন অন্যের বাসায় কাজ করতেন। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে এক সপ্তাহ ধরে কাজে যেতে পারছিলেন না। জুয়েলের হাতেও কোনো কাজকর্ম না থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে তারা দু’জন আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে রামপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব রামপুরা তিতাস রোডের ১৮৩/৩ নম্বর ওই টিনশেড বাসা থেকে স্ত্রী ও স্বামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে লাশ মর্গে পাঠানো হয়।

তিনি জানান, অর্থিক অভাব অনটনের কারণে স্ত্রী ও স্বামী একই ফ্যানের সাথে আলাদা দু’টি ওড়না বেঁধে গলার ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে ঘটনাটি আরো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877