স্বদেশ ডেস্ক:
ভারতের উত্তরাখণ্ডের হলদওয়ানির তিনপানি এলাকায় শনিবার (১৪ জুলাই) বন্ধ গাড়ির ভেতর থেকে এক ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সাপের ছোবল দিয়ে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যবসায়ীর প্রেমিকাসহ পাঁচজনকে।
ওই ব্যবসায়ীর নাম অঙ্কিত চৌহান (৩০)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যে গাড়ি থেকে অঙ্কিতের লাশ উদ্ধার করা হয় তা রাস্তার পাশে ইঞ্জিন চালু রাখা অবস্থায় বহুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল। গাড়ির দরজা, জানালা বন্ধ থাকায় পুলিশ ধারণা করেছিল, গাড়ির ভেতর কার্বন মনোক্সাইড গ্যাসের পরিমাণ বাড়তে থাকায় দমবন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে ভিন্ন কথা।
ময়নাতদন্তের রিপোর্টে অঙ্কিতের দেহে সাপের বিষের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। তদন্তে নেমে অঙ্কিতের ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। তাদের সন্দেহের তালিকায় চলে আসেন অঙ্কিতের প্রেমিকা মাহি ওরফে ডলি আর্য।
পুলিশের দাবি, মাহির সাথে এক সাপুড়ের যোগাযোগের সূত্রও খুঁজে পায় তারা। ওই সূত্র ধরে উত্তরপ্রদেশের সাপুড়ে রমেশনাথকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রমেশনাথকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে যে মাহি, মাহির বন্ধু দীপ কানপাল এবং আরো দু’জন মিলে অঙ্কিতকে সাপের বিষ দিয়ে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন।
রমেশনাথের দাবি, অঙ্কিতের সাথে সম্পর্কে ছিলেন মাহি।
মদ্যপ অবস্থায় মাহির ওপর প্রায়ই শারীরিক অত্যাচার করতেন অঙ্কিত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে বন্ধুদের সাথে অঙ্কিতকে হত্যা পরিকল্পনা করেন মাহি।
পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন মাহির বাড়িতে গিয়েছিলেন অঙ্কিত। সেখানে মাহি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাকি তিনজন।
পুলিশের ধারণা, মাহির বাড়িতে প্রথমে মদ অথবা পানীয়ের মধ্যে মাদক মিশিয়ে তা খাওয়ানো হয় অঙ্কিতকে। অচেতন হওয়ার পর অঙ্কিতের গায়ে কোবরা জাতের বিষধর সাপ ছেড়ে দেন তারা। কোবরার কামড়েই মৃত্যু হয় অঙ্কিতের বলে পুলিশের দাবি।