শনিবার, ০১ Jun ২০২৪, ০৭:১১ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
জিয়া ছাড়া কোনো সেক্টর কমান্ডার যুদ্ধক্ষেত্রে ছিলেন না: মির্জা আব্বাস দুবাই নিয়ে তরুণীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করতেন তারা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটের বিশেষ ট্রেনটি আবার চালুর ঘোষণা, চলবে যত দিন ‘অল আয়েস অন রাফা’ : বিশ্বজুড়ে যা প্রায় ৫০ মিলিয়ন লোক শেয়ার করছে মানুষের বেঁচে থাকার কোনো অবলম্বনই সরকার রাখেনি : রিজভী রোহিঙ্গাদের নিয়ে করা আশঙ্কার আলামত দেখা যাচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির বিরুদ্ধে প্রচার চালানো হতো এমন ১৪৮ অ্যাকাউন্ট ও পেজ সরিয়েছে ফেসবুক পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরাইল ব্যতীত’ শব্দ মুছে ফেলা দুঃখজনক : মোমেন পৃথিবীর কোনো দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয় : ওবায়দুল কাদের রাত ১২টায় বন্ধ হচ্ছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার, বিমানবন্দরে আটকা হাজার হাজার কর্মী
ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে তিন বোনের মৃত্যু

ছোট বোনকে বাঁচাতে গিয়ে আগুনে পুড়ে তিন বোনের মৃত্যু

স্বদেশ ডেস্ক:

অগ্নি দুর্ঘটনায় তিন মেয়েকে হারালেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সেবক হরিজন সম্প্রদায়ের মিঠুন দাশ ও আরতি দাশ দম্পতি। গত ২০ জুন নিজ ঘরে সংঘটিত এ অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ হয় তাদের চার মেয়ে।

জানা গেছে, ২০ জুন ভোরে চার মেয়েকে ঘরে রেখে কাজে যান মিঠুন ও আরতি দম্পতি। ওই দিন সকাল সাড়ে ৬টার দিকে ঘরের ভেতর হঠাৎ বিকট শব্দ হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দাউ দাউ করে পুরো ঘরে আগুন ধরে যায়। আড়াই বছরের সুইটি রানী দাশের গায়ে আগুন লাগার উপক্রম হলে তাকে বাঁচাতে শরীরের ওপর মানবঢাল তৈরি করে বড় তিন বোন। এতে শরীরের বেশিরভাগ অংশ পুড়ে যায় তাদের। সামান্য পুড়লেও রক্ষা পায় ছোট বোন। পরে আগুনে দগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু গত ২২ জুন শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় সারথি ও হ্যাপিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনা হয়। ঘটনার প্রায় ২৪ দিনের ব্যবধানে এক আগুনের ঘটনায় একে একে মারা গেল তিন বোন।

নিহতরা হলো‒ সারথি রানী দাশ (১৭), সাখশী রানী দাশ (১৩) ও হ্যাপি রানী দাশ (৬)। সবশেষ বুধবার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছে হ্যাপি। এর আগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩০ জুন একই ইনস্টিটিউটে সারথি ও তার আগে ২৪ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে মারা যায় সাখশী। নিহত সারথি সপ্তম শ্রেণির, সাখশী পঞ্চম ও হ্যাপি কেজি শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

নিহত তিন শিশুর বাবা মিঠুন দাশের বড় ভাই সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী অনিকেষ দাশ বলেন, ‘অনেক কষ্টের সাজানো পরিবারটা তছনছ হয়ে গেল।’

প্রতিবেশী উত্তম দাস বলেন, ‘ঘটনার দিন সকালে হঠাৎ বিকট শব্দ শুনে নিজের ঘর থেকে বের হয়ে দেখি কেবল ধোঁয়া আর ধোঁয়া। কিছুক্ষণের মধ্যেই আগুন ধরে যায়। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877