স্বদেশ ডেস্খ:
দেশের সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহŸানের মধ্য দিয়ে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলো জ্যাকসন হাইটস ঈদ মেলা। গত ২৫ জুন রোববার সিটির রুজভেল্ট এভিনিউ ও ৭৭ স্ট্রিটে বিনোদন মাল্টিমিডিয়া সার্ভিসের ব্যানারে এই মেলা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার সহযোগিতায় ছিলো জ্যাকসন হাইটস বাংলাদেশী বিজনেস এসোসিয়েশন (জেবিবিএ)। বিকেলে ফিতা কেটে আর এক গুচ্ছ বেলুন উড়িয়ে মেলার প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন গ্লোবাল পিস অ্যামব্যাসেডর বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবু জাফর মাহমুদ।
ঈদ মেলায় ড. আবু জাফর মাহমুদ তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশীদের বড় সম্পদ ভালোবাসা ও মানবিকতা। এই বৈশিষ্ট্য দিয়েই আমরা বিশ্বজয় করেছি। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও মানবিক বৈশিষ্ট্যগুলো নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।
মেলার আয়োজক বিনোদন মাল্টিমিডিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং চ্যানেল আই এর যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায়, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের আারেক কন্ঠযোদ্ধা শহীদ হাসান সহ প্রবাসের বিশিষ্টজনেরা। মেলায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সাপ্তাহিক আজকাল সম্পাদক, গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট শাহ নেওয়াজ, অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, নিউইয়র্ক সিটি মেয়র দপ্তরের এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স ভলেন্টিয়ার ফাহাদ সোলাইমান, শাহ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট শাহ্ জে চৌধুরী প্রমুখ। দুপুরে মেলার প্রথম পর্বে অতিথি ছিলেন অ্যাসেমবিওম্যান ক্যাটালিনা ক্রুজ। মেলাযয় বেশ কয়েকটি বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান রকমারি পণ্যের স্টল সাজিয়ে বসে।
বিনোদন মাল্টিমিডিয়া’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বেশ কয়েকজনকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। সম্মননাপ্রাপ্তরা হলেন- রথীন্দ্রনাথ রায় ও শহীদ হাসান (কন্ঠযোদ্ধা), রেজাউল বারী (বীর মুক্তিযোদ্ধা), জলি আহমেদ (ইভেন্ট কোর্ডিনেটর, সংবাদ ও নাট্যকমী), নিলুফার শিরিন (সমাজসেবী), রুমা জান্নাতুল (আইনিসেবা), রেজওয়ানা এলভিস (সংবাদকর্মী, স্মাট টেক কে আইটি প্রশিক্ষন কেন্দ্র)।
অনুষ্ঠানে ছিল দলীয় নৃত্য, দেশ ও প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা। সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী দিনাত জাহান মুন্নী, শেফালী সারগম, রেশমি মির্জা, প্রবাসী শিল্পী শাহ মাহবুব প্রমুখ। দলীয় নৃত্যে অংশ নেন প্রিয়া ড্যান্স একাডেমীর শিল্পীরা। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে ছিল র্যাফেল ড্র। পুরো অনুষ্ঠান যৌথভাবে সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক আদিত্য শাহীন, জলি আহমেদ এবং রেজওয়ানা এলভিস।