স্বদেশ ডেস্ক:
রাত পোহালেই ঈদ। হাতে সময় মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তাইতো শেষ সময়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন সাধারণ মানুষ। একসঙ্গে এতো মানুষ বাড়ি ফেরার কারণে মহাসড়কগুলোয় পড়েছে যানবাহনের বাড়তি চাপ। তবে স্বস্তির কথা সিরাজগঞ্জের ঢাকা-উত্তরবঙ্গ মহাসড়কে নেই কোনো যানজট। তবে ঘরফেরা মানুষেরা বাস, ট্রাক, পিকআপ, ট্রেন ভর্তি করে ঘরে ফিরছেন। ঘরফেরা মানুষরে স্বস্তি দিতে ইতোমধ্যেই মূলিবাড়ি ফ্লাইভারের এক লেন খুলে দেওয়াসহ নলকা ব্রিজের দুই লেনই খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। যে কারণে যানবাহনের চাপ থাকলেও নেই কোনো যানজট। তবে সকাল থেকে বৃষ্টির মধ্যেই কাক ভেজা হলেও মানুষ আনন্দ নিয়েই ফিরেছে বাড়ি। যানবাহনের ভাড়াও গুণতে হয়েছে খানিকটা বেশি। তবুও শেষ পর্যন্ত বাড়ি ফিরতে পেরে স্বস্তি আর আনন্দের হাসিই হেসেছেন তারা।
সরেজমিনে বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম, কড্ডার মোড় ও চান্দাইকোনা মহাসড়ক এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাড় পর্যন্ত যানজট থাকলেও সেতুর পশ্চিম পাড়ে নেই কোন যানজট। মহাসড়কগুলোতে চলছে সারি সারি গাড়ি।
সিরাজগঞ্জ মহাসড়কের চান্দাইকোনা এলাকায় কথা হয় কাসেম বেপারীর সঙ্গে। তিনি পেশায় একজন গরু ব্যবসায়ী। ঢাকা থেকে গরু বিক্রি করে ফিরছেন। তিনি বলেন, ‘যমুনা সেতুর পূর্ব পাড়ে কিছুটা যানজট থাকলেও পূর্ব পাড়ে কোনো যানজট নেই। তবে মহাসড়ক ধরে সারি সারি গাড়ি চলছে।’
আরেক যাত্রী নার্গিস খন্দকার বলেন, ‘গতকাল ছুটি হলেও কিছু কাজের জন্য ঢাকা থেকে যেতে হয়েছিল। আজ সকালে রওনা হয়েছি, বৃষ্টি হলেও গরম কম থাকায় স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে পেরেছি।’
সিরাজগঞ্জ হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল কবীর বলেন, ‘গত সোমবার রাত থেকে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করেছে। আজ বুধবার সকালেও যানবাহনের চাপ রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে বিকেলের মধ্যে গাড়ির চাপ কমে আসবে।’
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মণ্ডল বলেন, ‘এবারের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে প্রায় এক হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা মোতায়েন থাকবে টানা ঈদুল আজহার তৃতীয় দিন পর্যন্ত। সিরাজগঞ্জের যানজট আতঙ্কে থাকা ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।’