স্বদেশ ডেস্ক:
বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে এবার শ্রমজীবী মানুষের পদযাত্রা বা সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। ‘দেশ বাঁচাতে কৃষক, শ্রমিক মেহনতী জনতার পদযাত্রা’ শীর্ষক এ কর্মসূচির আয়োজনে রয়েছে দলটির চারটি সহযোগী সংগঠন কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দল।
শ্রমজীবী মানুষের এ কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে ভার্চুয়ালি কয়েক দফা বৈঠক করেছেন দলটির সিনিয়র ও অঙ্গ দলের নেতারা। এতে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এ কমিটির সমন্বয়ক করা হয়েছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেনকে। সদস্য করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবুল কালাম আজাদ, হাজি মজিবুর রহমান ও আব্দুর রহিমকে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় দফতর সূত্রে জানা যায়, এ উপলক্ষে ‘দেশ বাঁচাতে কৃষক, শ্রমিক মেহনতি জনতার পদযাত্রা’ শীর্ষক একটি লিফলেটও বের করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, আওয়ামী দুঃশাসনকালে জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা স্বাধীনভাবে অবাধে ভোট দিতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।’
এছাড়াও কৃষিপণ্যের দাম কমানো, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য, বেকারত্বের অবসান, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম কমানো, তাঁতশিল্পের সমস্যার সমাধান, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি ও তাদের মামলা প্রত্যাহার, তারেক রহমানের সব মামলা ও রায় বাতিলের দাবি তুলে ধরা হয়েছে লিফলেটে।
প্রত্যেকটি সমাবেশ বা পদযাত্রায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়াও বিএনপি ও অঙ্গদলের নেতারা থাকবেন।
সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা যায়, আগামী ১২ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম সমাবেশ হবে। তারপর একে একে ১৯ জুলাই দিনাজপুর, ২৮ জুলাই রাজশাহী কিংবা সিরাজগঞ্জ, ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ ও ১৯ আগস্ট বরিশালে সমাবেশ বা পদযাত্রা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ব্যাপারে সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, নোয়াখালী থেকে এ পদযাত্রা শুরু হবে। তবে সময়সূচি এখনো চূড়ান্ত নয়। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অনুমোদন দিলেই তা চূড়ান্ত হবে। প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তনও হতে পারে।
এ কর্মসূচি সফল করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রস্তুতি সভা করছেন সমন্বয় কমিটির সদস্যরা। এ ব্যাপারে সমন্বয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, এ কর্মসূচি সফল করতে এখন বিভাগীয় শহরে প্রস্তুতি সভা করছি আমরা। গত শনিবার ময়মনসিংহে প্রস্তুতি সভা করেছি। নোয়াখালীতে করেছি রোববার। এ ছাড়া আগামী ৫ জুলাই খুলনা, ৬ জুলাই নোয়াখালী ও ৭ জুলাই কুমিল্লায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে।