স্বদেশ ডেস্ক: ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে গত বুধবার যুবলীগে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়। ঢাকার ক্লাব, রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন স্থাপনায় সংগঠনটির নেতাদের ছত্রছায়ায় গড়ে তোলা ক্যাসিনোতেও চলছে র্যাবের অভিযান।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয় কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীমকে। বিকালে অভিযান শুরু হয় কলাবাগান ক্রীড়াচক্রে। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, র্যাবের গ্রেপ্তারের তালিকায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতা, কাউন্সিলরসহ অন্তত ২৫ জন প্রভাবশালী রয়েছেন; যাদের ওপর নজরদারি চলছে।
পর্যায়ক্রমে তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ তালিকায় খালেদের সহযোগী রাজু, তুহীনও রয়েছেন। তবে গ্রেপ্তারের ভয়ে তারাসহ অনেক প্রভাবশালীই আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে সূত্র জানায়।
এদিকে দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গতকাল ছিল রিমান্ডের প্রথম দিন। জিজ্ঞাসাবাদে ঢাকার ক্যাসিনো বাণিজ্য, যুবলীগের টেন্ডারবাজি, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার যুবলীগ নেতা জিকে শামীমসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেপ্তার অভিযানে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতেই খালেদের কাছে গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা জানতে চানÑ কীভাবে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের নেতা হয়েছেন। এ ব্যাপারে গোয়েন্দা পুলিশকে এমন কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা পিলে চমকানোর মতো।