স্বদেশ ডেস্ক:
দেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র (এফএফডব্লিইসি) মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ১০৯টি নদীর জলস্তর পর্যবেক্ষণের পর ৯১টি স্টেশনে জলস্তর বৃদ্ধি এবং ১৫টি অন্যান্য স্টেশনে জলস্তর হ্রাস পাওয়ার তথ্য রেকর্ড করেছে।
মঙ্গলবার এফএফডব্লিউসি’র পক্ষ থেকে দেয়া একটি বুলেটিনে বলা হয়েছে, তিনটি নদী স্টেশনে জলস্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং সমস্ত নদীর পানি বিপদসীমার নীচে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ব্রহ্মপুত্র-যমুনা এবং গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টায় অব্যাহত থাকতে পারে।
এছাড়া এই অঞ্চলের সব প্রধান নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংস্থার বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন অঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীর (সুরমা, কুশিয়ারা, সারি গোয়াইন, ঝালুখালী, ভোগাই-কংস, সোমেশ্বরী, জাদুকাটা) পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদী বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।’
তারা আরো জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার অববাহিকা এবং তৎসংলগ্ন উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাসের কারণে এই সময় নদীগুলোর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে।
বুলেটিনে আরো বলা হয়েছে, ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিপদসীমার কাছাকাছি প্রবাহিত হতে পারে।
ইউএনবি কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা জানান, প্রবল বর্ষণ ও উজান থেকে আসা পানির ঢলে কুড়িগ্রামে উত্তরাঞ্চলের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদীর পানির উচ্চতা অব্যাহত রয়েছে।
তবে সব পয়েন্টে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী নিচু চর এলাকাগুলো প্রতিদিনই প্লাবিত হচ্ছে।
ফলে নদী অববাহিকায় মৌসুমি সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের খেত তলিয়ে যাচ্ছে।
জেলার নাগেশ্বরী, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, রাজীবপুর ও কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার শতাধিক পরিবার বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে।
এসব এলাকার অধিকাংশ সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় এসব এলাকার মানুষ বর্তমানে যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করছে।
চর ও নিচু এলাকায় নলকূপ ডুবে যাওয়ায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সঙ্কটে পড়েছেন মানুষ।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, জেলার সব নদ-নদীর পানির উচ্চতা বাড়লেও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে ২২ ও ২৩ জুন এসব নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলেও জানান তিনি। সূত্র : ইউএনবি