স্বদেশ ডেস্ক:
এ বিষয়ে আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, ৪ জুন ঢাকার স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা। কিন্তু রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মানে ঢাকার তাপমাত্রা ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল। দিনাজপুরে স্বাভাবিক তাপমাত্রা থাকার কথা ৩৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নীলফামারী ও দিনাজপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রংপুর বিভাগের বাকি ছয় জেলায় বয়ে যাচ্ছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। এ ছাড়া ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা, রাজশাহী বিভাগের আট জেলা, খুলনা বিভাগের ১০ জেলা, বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা এবং ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও বান্দরবান জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ সোমবার তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, তাপপ্রবাহ বাড়ার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো সূর্যের উত্তর গোলার্ধে লম্বালম্বি কিরণ দেওয়া, দিনের ব্যাপ্তি বড় হওয়া, তাপের পরশ পৃথিবীতে বেশি আসা, বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকা ও বায়ুমণ্ডলে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প না থাকা। জলীয়বাষ্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বায়ুমণ্ডলে পর্যাপ্ত জলীয়বাষ্প না থাকায় বৃষ্টি হচ্ছে না। বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় গরমের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। অথচ বৃষ্টি হলে এই জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে প্রশান্তি বাড়তে পারত।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, আজ সোমবার ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। দেশের অন্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
বৃষ্টির এই পূর্বাভাসে স্বস্তির আভাস নেই জানিয়ে আবহাওয়াবিদ নাজমুল হক বলেন, কালবৈশাখীর প্রভাবে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা কমবে না। তাপমাত্রা কমতে হলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হতে হবে। চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে হবে। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে তাপমাত্রা এমনিতেই কম। দেশের উত্তর-পশ্চিম দিকে বৃষ্টি হলে কালবৈশাখী হতে পারে। ফলে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশালে যে পরিমাণ বৃষ্টি হবে, তাতেও তাপপ্রবাহে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা নেই।
সুনামগঞ্জে হিট স্ট্রোকে মৃত্যু
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় গতকাল বিকেলে হিট স্ট্রোকে আব্দুল ওহাব (৬৫) নামের এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা। মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীতেষ সরকার বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে হিট স্ট্রোকে মৃত্যুর খবর জেনেছি।’