স্পোর্টস ডেস্ক: গুরুত্বপূর্ণই বটে আজকের এ ম্যাচটা। হোক না প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে। কিন্তু টি-২০ ভার্সনে খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাসটা এতটা তলানিতে যে এখন সব ম্যাচ নিয়েই অজানা এক ভয় কাজ করে। দুই কারণে এ গুরুত্ব বহন করছে সাকিবদের। চট্টগ্রাম পর্বের দুই ম্যাচের দলে আনা হয়েছে পরিবর্তন।
ফলে নতুন দলে আসাদের কোথায় সেটিং করা হবে এবং তাদের পারফরম্যান্স কেমন হবে তা নিয়ে আছে চিন্তা। এটাও ঠিক, শুধুই যে এ আসর তা নয়; বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য আগামী টি-২০ বিশ্বকাপ। ফলে কোচরাই সিনিয়রদের পারফরম্যান্স দেখে তরুণদের দলভুক্ত করতে উৎসাহবোধ করেছেন।
আরো একটা বিষয় এর সাথেই জড়িত। সেটা আফগানিস্তানকে পরাস্ত করা জরুরি হয়ে গেছে। আইসিসির এলিট প্যানেলে নতুন যোগ হওয়া এক দলের সাথে এভাবে নাকাল হবে বাংলাদেশ এবং সেটা প্রতিনিয়ত, এটা বাংলাদেশের অর্জিত সম্মানবোধে আঘাতের শামিল। ফলে টি-২০ ক্রিকেটে টানা চার ম্যাচ হারের পর এবার ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। ওই ম্যাচের আগে নিজেদের নতুন দলটাকে তো একটু পরখ প্রয়োজন।
এর বাইরে যে কারণ সেটা তো ফাইনাল। জিম্বাবুয়ের কাছে আজ চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরীতে হেরে গেলে ফাইনালের রেসে জিম্বাবুয়েও উঠে আসবে। এটা রিক্স হয়ে যাবে। কারণ ফাইনালের আগে আর একটি মাত্র খেলা রয়েছে। যেটা ওই আফগানদের বিপক্ষেই। সে কারণে জয় নিয়ে ফাইনালের কনফারমেশনটা এ ম্যাচেই প্রয়োজন।
জিম্বাবুয়ের সাথে মিরপুর শেরেবাংলায় অনুষ্ঠিত ম্যাচে যে খুব সুবিধাজনক অবস্থানে থেকে জিতেছিল বাংলাদেশ তা নয়। আফিফ ও মোসাদ্দেকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ উদ্ধারে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ফলে আজকের ম্যাচেও কিছুটা হলেও টেনশন থাকবে সাকিবদের। একেবারে নির্ভাবনায় থেকে খেলে যাবেন তারা ম্যাচ, এমনটা নয়। জিম্বাবুয়ে দলে রয়েছে অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সংমিশ্রণ। অভিজ্ঞরা বেশ ভালোই খেলছেন। তরুণদেরও সাপোর্ট চমৎকার। সব মিলিয়ে ব্রেন্ডন টেইলর, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, আরভিন, শন উইলিয়াম প্রমুখরা আজো তাদের প্রথম জয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করবেন এ টুর্নামেন্টে।
বাংলাদেশের মুখ্য হলো, এ ম্যাচে পরিবর্তিত দলকে অ্যাডজাস্ট করানো। এটা কিছুটা ঝুঁকির ব্যাপারও। যদিও দলভুক্ত যারা হয়েছেন তাদের মধ্যে তরুণরা বেশ ক’টি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই আজকের এ স্থানে। এ ছাড়া রুবেল হোসেন ও শফিউলদের কেন দলে নেয়া হয়েছে- সেটা তারা ভালো জানেন। দুই বোলারেরই অভ্যাস রয়েছে ভালো বোলিংয়ের। সেটা শর্টার ভার্সন হোক আর যেখানেই হোক। অবশ্য যেহেতু মুস্তাফিজ রয়েছেন। আছেন সাইফুদ্দিন। ফলে ক’জন পেস বোলার নামানো হবে সেটা উইকেট পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে খেলা।