রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:২৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
‘কিরগিজস্তানকে আমাদের গভীর উদ্বেগ জানিয়েছি, কোনো বাংলাদেশী শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়নি’ কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন অটোরিকশা চালকদের স্বেচ্ছাসেবক লীগের র‌্যালি থেকে ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে কিশোর নিহত দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চরম তাপপ্রবাহ আসন্ন বিপদের ইঙ্গিত দ্বিতীয় ধাপে কোটিপতি প্রার্থী বেড়েছে ৩ গুণ, ঋণগ্রস্ত এক-চতুর্থাংশ: টিআইবি সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণসহ গ্রেপ্তার শহীদ ২ দিনের রিমান্ডে ‘গ্লোবাল ডিসরাপ্টর্স’ তালিকায় দীপিকা, স্ত্রীর সাফল্যে উচ্ছ্বসিত রণবীর খরচ বাঁচাতে গিয়ে দেশের ক্ষতি করবেন না: প্রধানমন্ত্রী জেরুসালেম-রিয়াদের মধ্যে স্বাভাবিককরণ চুক্তির মধ্যস্থতায় সৌদি বাইডেনের সহযোগী ‘ইসরাইলকে ফিলিস্তিন থেকে বের করে দাও’
রুটি বিক্রির টাকায় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন তুর্কি নারীরা

রুটি বিক্রির টাকায় এই মসজিদটি নির্মাণ করেন তুর্কি নারীরা

স্বদেশ ডেস্ক:

ইসলামী ঐতিহ্য বিনির্মাণ ও সংরক্ষণে তুর্কি মুসলিমদের সুনাম বিশ্বজুড়ে। এ ক্ষেত্রে তুর্কি নারীদের অবদানও স্মরণ রাখার মতো। আধুনিক যুগে এসেও তারা ইসলামের সেবায় পিছিয়ে নেই। বিভিন্ন সময় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তাদের নানারকম ধর্মীয় সেবামূলক কাজের খবর পাওয়া যায়।

তেমনই একটি খবর- রুটি বিক্রি করে জমানো টাকা দিয়ে মসজিদ নির্মাণ করেছেন তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বুরসার কয়েকজন নারী। প্রদেশটির ওরহানলি এলাকার বাশকো গ্রামে নান্দনিক এই মসজিদটি নির্মিত হয়েছে। নারীরা সবাই বাশকো গ্রামের বাসিন্দা এবং তারা রুটি বানিয়ে বিক্রি করেন। মসজিদের নতুন এই স্থাপনার জায়গায় আগে পুরনো একটি মসজিদ ছিল। কিন্তু পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসী নতুন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।

সবার উদ্যোগে একাত্মতা জানিয়ে গ্রামের রুটি বিক্রেতা নারীরাও নির্মাণ খরচে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় এবং দেড় মিলিয়ন তুর্কি লিরা বা ১৮১ হাজার মার্কিন ডলার খরচে নির্মিত মসজিদের বেশির ভাগ অর্থ তারাই দেয়। সপ্তাহের এক কিংবা দুই দিনের লভ্যাংশ তারা আলাদা ফান্ডে জমা করত। এভাবে দুই বছরের জমানো অর্থ তারা মসজিদে দান করে। রুটি বিক্রেতা নারীদের কাছে অন্য নারীরাও আটা দিয়ে মহৎ এই কাজে অংশ নেয়।

বুরসা উত্তর-পশ্চিম আনাতোলিয়ার মারমারা সাগর উপকূলে অবস্থিত তুরস্কের ঐতিহাসিক প্রদেশ। প্রাদেশিক রাজধানীর নামও বুরসা। প্রদেশটির আয়তন ১১ হাজার ৪৩ বর্গকিলোমিটার এবং ২০১৫ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী এখানের জনসংখ্যা ২৮ লাখ ৪২ হাজার ৫৪৭ জন। বুরসা শহরটি ১৩২৬ থেকে ১৩৬৫ সাল পর্যন্ত ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল।

পরে ওসমানিয়ারা এডির্ন জয়ের পর তা নতুন রাজধানী হয়ে ওঠে। এডির্ন ১৩৬৫ থেকে ১৪৫৩ সাল পর্যন্ত ওসমানিয়া সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। এরপর ইস্তাম্বুল নতুন রাজধানী হয়। বুরসার বেশির ভাগ বাসিন্দাই সুন্নি মুসলিম।

সূত্র : আলজাজিরা মুবাশির ও অন্যান্য

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877