স্বদেশ ডেস্ক:
স্ত্রী ইসরাত জাহানের করা যৌতুকের জন্য নির্যাতন ও মারধরের মামলায় চার্জ গঠনের আদেশ বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেন।
আজ বুধবার ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা ছিল। বাদী ইসরাত জাহান সাক্ষ্য দিতে আদালতেও আসেন। কিন্তু আসামি আল-আমিনের আইনজীবী আব্দুর রহমান (সুমন) ট্রাইব্যুনালকে লিখিতভাবে জানান, চার্জ গঠনের আদেশ বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে। তাই, এ পর্যায়ে সাক্ষ্য গ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করেন। পরে বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ইসরাত জাহানের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তার পরদিন মামলা আকারে নথিভুক্ত করে মিরপুর মডেল থানা। মামলায় বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ আল-আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করেন এবং সংসার করবেন না বলে জানান। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে, সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান।