সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৫৬ অপরাহ্ন

আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশী শিক্ষক-১৮

আমেরিকার ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশী শিক্ষক-১৮

স্বদেশ ডেস্ক:

আমেরিকার বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজে বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিপুল সংখ্যক নারী ও পুরুষ শিক্ষকতার সাথে জড়িত। তাদের অনেকেই লেকচারার কিংবা এ্যাসিস্ট্যান্ট বা এসোসিয়েট প্রফেসর কিংবা ফুল প্রফেসর। কেউ কেউ প্রফেসর ইমেরিটাসও। আরো আছেন গবেষক। তাদের প্রায় সকলেরই রয়েছে গবেষণা গ্রন্থ কিংবা গবেষণা নিবন্ধ। বই প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন ইউনিভার্সিটির নিজস্ব প্রকাশনা থেকে। তাদের নিবন্ধ প্রকাশিত হয় নিজ নিজ ইউনিভার্সিটিসহ আন্তর্জাতিক জার্নালে। এঁদের অর্জনের জন্য তাদের স্থান হয়েছে উইকিপিডিয়ায়, ইউনিভার্সিটিগুলোর নিজস্ব ওয়েবসাইটে। অনেক শিক্ষকের রয়েছে নিজস্ব ওয়েবসাইট। অনেকের ধারণা এদেশে বাংলাদেশীরা কেবল অপেশাদার কাজই করেন। কথাটি সত্য নয়। বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত কিংবা বাংলাদেশী-আমেরিকান যেমন আছেন বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজে, তেমনই আছেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, এটর্নি, সিপিএ, ডেন্টিস্ট, ফার্মাসিস্ট, আইটি বিশেষজ্ঞ, স্কুল শিক্ষক, রেজিস্টার্ড নার্সসহ নানা ক্ষেত্রের পেশাজীবী। সাপ্তাহিক বাঙালী এই সিরিজে কেবল বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি ও কলেজে যারা শিক্ষকতা করেন তাদের সংক্ষিপ্ত তথ্য তুলে ধরছেঃ

আজিজুর আর মোল্লা

মিশিগানের গ্রান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথের এসোসিয়েট প্রফেসর ড. আজিজুর আর মোল্লা। তাঁর বিশেষজ্ঞতার জায়গা হলো কম্যুনিটি হেলথ, এনভার্নমেন্টাল হেলথ, ডেমোগ্রাফি, রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, মেডিকেল এ্যানথ্রোপলজি, সাউথ এশিয়ান কালচার, কম্যুনিটি ডেভেলপমেন্ট স্ট্রাটেজি, প্রোগ্রাম ইভালুয়েশন এবং কোয়ালেটেটিভ ও কুয়ান্টেটেটিভ রিসার্চ।

তিনি ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সোশাল সাইন্সে বিএসএস সম্পন্ন করে ১৯৯৫ সালে ইউনিভার্সিটি অব নর্থ ক্যারোলাইনা, চ্যাপেল হিল থেকে পাবলিক হেলথে মাস্টার্স করেন। তার থিসিসের বিষয় ছিল ‘ফ্যাক্টরস ইনফ্লুয়েন্সিং সাসটেইনেবিলিটি অব ফ্যামিলি প্লানিং এনজিও’স ইন বাংলাদেশ’। আজিজুর মোল্লা দ্বিতীয় মাস্টার্স করেন ২০০২ সালে এ্যানথ্রোপলজি এন্ড ডেমোগ্রাফির ওপর পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে। একই ইউনিভার্সিটি থেকে এ্যানথ্রোপলজি এন্ড ডেমোগ্রাফির ওপর পিএইচডি করেন ২০০৫ সালে।

তিনি ১৯৯৭ থেকে ৯৯ সাল পর্যন্ত ঢাকার ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে কাজ করেন এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে। ১৯৯৯ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০২ থেকে ২০০৪ পর্যন্ত সেখানে টিচিং এ্যাসিস্ট্যান্ট, ২০০৫ ও ২০০৬ সালে পেনসিলভেনিয়া কলেজ অব টেকনোলজিতে এডজাংক্ট ফ্যাকাল্টি, ২০০৬ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ম্যান্সফিল্ড ইউনিভার্সিটিতে এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর এবং ২০০৮ থেকে এখন পর্যন্ত গ্র্যান্ড ভ্যালি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে এ্যানথ্রোপলজি বিভাগের এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রফেসর আমান খান

টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটির ডিপার্টমেন্ট অব পলিটিক্যাল সাইন্সের পাবলিক এ্যাডের প্রফেসর আমান খান। তিনি পাবলিক বাজেটিং, ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট, কস্ট এন্ড ম্যানেজারিয়াল একাউন্টিং (সরকার ও নন-প্রফিট অর্গানাইজেশনের) পড়ান ২০০৭ থেকে।

ড. আমান খান ১৯৭৬ সালে ইউনিভার্সিটি অব টরন্টো থেকে আরবান ও রিজওনাল প্লানিংএ এমএস, ১৯৭৯ সালে ইউনিভার্সিটি অব পিটসবার্গ থেকে ইকোনমিক্সে মাস্টার্স এবং একই ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৮২ সালে পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশনে পিএইচডি করেন।

১৯৯৫ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ড. আমান খান টেক্সাস টেক ইউনিভার্সিটিতে এসোসিয়েট প্রফেসর হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। আর ১৯৮৮ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত ছিলেন এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। এ পর্যন্ত তাঁর শতাধিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন জার্নালে। তাঁর লেখা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বইও রয়েছে।

প্রফেসর হারুন খান

আরকানসাস হেন্ডারসন স্টেট ইউনিভার্সিটির পলিটিক্যাল সাইন্সের প্রফেসর হারুন খান এই ইউনিভার্সিটিতে অধ্যাপনায় যোগ দেন ১৯৯০ সালে এ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসাবে। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রফেসর পদে উন্নীত হন।

ড. হারুন খান ইস্টার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটি থেকে পলিটিক্যাল সাইন্সে মাস্টার্স করে এম.ফিল. ও পিএইচডি করেন একই বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব ক্যানসাস থেকে।

২০১৭ সালে ড. হারুন খান আরকানসাস পলিটিক্যাল সাইন্স এসোসিয়েশন থেকে আউটস্ট্যান্ডিং স্কলারশিপ এওয়ার্ড পান। ১৯৯৮-৯৯ সালে তিনি সিনিয়র ফুলব্রাইট ফেলোশিপ পান। ড. খানের লেখা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো দ্য ল্যাক অব গুড গভর্ন্যান্স ইন দ্য গেøাবাল সাউথঃ এ্যান এ্যানালাইসিস অব ইটস ইফেক্টস, প্রেসিডেন্ট নিক্সন এন্ড দ্য ইন্ডিয়া-পাকিস্তান কনফ্লিক্ট ওভার বাংলাদেশ, এ্যান ইন্ট্রোডাকশন টু পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন ইত্যাদি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877