স্বদেশ ডেস্ক:
প্রেমে পড়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান যুবক-যুবতী। এরপর মেয়েটি হয়ে পড়েন গর্ভবতী। লোক জানাজানির ভয়ে অবৈধ সম্পর্কের এই সন্তান পৃথিবীতে না আনার সিদ্ধান্ত গর্ভপাত করাতে যান তারা। কিন্তু শেষে অপারেশন থিয়েটারেই প্রাণ গেল মেয়েটির। এরপর সেই লাশ গায়েব করে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের তেলেঙ্গানার মেঢক জেলার জহিরাবাদ শহরের এক জঙ্গল থেকে ওই প্রেমিকার পোড়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের আগে প্রেমিককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তার দেওয়া তথ্য মতে পুলিশ মেয়েটির লাশ উদ্ধার করে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে মেয়েটি কর্ণাটকের কলবুর্গি শহরের। প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রবি কুমার (২৬) নামে এক ছেলের সঙ্গে। তার বাবা অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ কর্মকর্তা। ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে এক পর্যায়ে গর্ভবতী হয়ে পড়েন। লোক জানাজানি হওয়ার আগে গর্ভপাত করার সিদ্ধান্ত নেন তারা দুজনে। এজন্য গত ৩ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে যান মেয়েটি ও তার প্রেমিক। সেখানে গিয়ে মেয়েটি ওই ছেলেকে নিজের স্বামী হিসেবেও পরিচয় দেন।
অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ আরও জানতে পারে, গর্ভপাত করাতে গিয়ে অপারেশন থিয়েটারেই মেয়েটি মারা যায়। এরপর তার হাতে তুলে দেওয়া হয় মৃতদেহটি। তখন তিনি কি করবেন, বুঝতে পারছিলেন না। প্রায় ২৪ ঘণ্টা নিজের গাড়িতেই রেখে দেন প্রেমিকার লাশ। তার পরের দিন সুযোগ বুঝে মেয়েটির লাশ জঙ্গলে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
এদিকে, হঠাৎ করেই মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তার আত্মীয়-স্বজনরা খোঁজ করতে থাকেন। কোথাও না পেয়ে তিন দিন পর পুলিশের দ্বারস্থ হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরিও করেন তারা। তদন্তে নেমে পুলিশ রবি কুমারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন এবং প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন।