স্বদেশ ডেস্ক:
জনগণ যেন পুলিশের কাছ থেকে স্বল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের অধীন অনুমোদনপ্রাপ্ত কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনবান্ধব পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। জনগণ পুলিশের কাছ থেকে যেন স্বল্প সময়ের মধ্যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক পুলিশ গড়ে তোলা হচ্ছে। পুলিশের সেবা তাৎক্ষণিক পেতে জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু করা হয়েছে। পুলিশ খুব দক্ষতার সঙ্গে এ ক্ষেত্রে কাজ করছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে নতুন প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ, জনবল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে সরকার, যার সুফল ইতিমধ্যে দেশের জনগণ পেতে শুরু করেছে।’
জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিশেষ করে এ ক্ষেত্রে নারী পুলিশ সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত হচ্ছে। ’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশে আন্দোলনের নামে যেভাবে সাধারণ মানুষের ওপর হামলা হয়েছে, সেভাবে পুলিশের ওপরও হামলা হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যেভাবে জনগণের সেবা করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
এ সময় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে। কারণ মাদক একটি পরিবার ও সমাজকে নষ্ট করে দেয়।’
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করেন। এ ছাড়া তিনি পুলিশের জন্য বর্তমান সরকারের দেওয়া সুযোগ-সুবিধাগুলো তুলে ধরেন।
ভিডিও কনফারেন্সে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ও কমিউনিটি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন, ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মশিউহুল হক চৌধুরীসহ পুলিশ ও ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের টানা তিন মেয়াদে ১৩টি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে দেশি ও প্রবাসী উদ্যোক্তারা ১১টি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) একটি ব্যাংক (সীমান্ত ব্যাংক) পেয়েছে। সর্বশেষ পেল পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানায় কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ।