স্বদেশ ডেস্ক:
রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে সমর্থন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে জাতীয় পার্টি থেকে লড়ছেন তার ছেলে রাহগীর আল মাহী সাদ ওরফে সাদ এরশাদ। সাদের বিজয় নিশ্চিত করতে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জোটসঙ্গী আওয়ামী লীগের সমর্থনও চাওয়া হয়েছে। অবশ্য এখনই স্পষ্ট কোনো বার্তা দেয়নি আওয়ামী লীগ। তবে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, প্রয়াত এরশাদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়ে আসনটি জাতীয় পার্টির জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গতকাল আমাদের সময়কে বলেন, সিটটা এরশাদ সাহেবের ছিল। তিনি মারা গেছেন। তার ছেলে ওই আসন থেকে নির্বাচন করছেন। সিমপ্যাথির জায়গা থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারি আমরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গতকাল সোমবার বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, জোটের সঙ্গে সমঝোতার বিষয়টি এ মুহূর্তে আমরা বলতে পারছি না। সমঝোতা হবে না, এটাও বলতে পারছি না। এ বিষয়ে আমরা কথা বলার চেষ্টা করছি, আলাপ-আলোচনা কিছুটা
করেছি। এখনো কোনো সমঝোতায় আসতে পারিনি। আমরা কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি, উনারাও বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলেছেন। তবে আর দু-চারদিন পর মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিনের মধ্যেই বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হব।
১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল গণি স্বপন জেতার পর থেকে রংপুরের এ আসনটি কখনো তাদের হাতছাড়া হয়নি। সর্বশেষ দুটি নির্বাচনে এ আসন থেকে এমপি হন জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ওই নির্বাচনে এরশাদের বিপরীতে কোনো প্রার্থী দেয়নি মহাজোটের শরিক আওয়ামী লীগ।
চলমান একাদশ সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ গত ১৪ জুলাই মারা গেলে রংপুর-৩ আসনটি শূন্য হয়। ৫ অক্টোবর ভোটের দিন রেখে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আওয়ামী লীগ আভাস দিয়েছিল এবার তারা আর রংপুরে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দিতে চায় না। এরশাদের আসনে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজুর নাম ঘোষণা করা হয় গত শনিবার। অন্যদিকে নানা নাটকীয়তার পর জাতীয় পার্টি রবিবার জানায়, দলের প্রতিষ্ঠাতার আসনে তার ছেলে সাদ এরশাদকে মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।