স্বদেশ ডেস্ক:
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘তার দলকে নিয়ে সরকার ক্ষমতা দখল করে আছে।’
আজ সোমবার সকালে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই এই দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন, মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছেন। কারণ, বরাবরই তিনি (শেখ হাসিনা) এরশাদকে সঙ্গে নিয়ে এলায়েন্স করেছেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে তিনি গণতন্ত্রকে হত্যা করে, তাদের বিরোধীদলে বসিয়েছেন।’
এর আগে গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে বলেন, ‘পঁচাত্তরে জাতির পিতার হত্যার পর জিয়া ক্ষমতা দখল করেন। তাকে অনুসরণ করে এরশাদ প্রথমে মার্শাল ল’জারি করেন। এরপর নিজেই ক্ষমতা দখল করেন। হাইকোর্ট এই দুজনের ক্ষমতা দখলকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন। এর ফলে এই দুজনের কাউকেই বৈধ রাষ্ট্রপতি বলা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘অবৈধ যখন ঘোষণা করেছে, তখন তাদের দুজনের কেউই আর রাষ্ট্রপতি থাকে না, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী তাদের রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা বৈধ নয়, এটাই বাস্তবতা। কারণ এই একটি রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখার সুযোগ হয়েছে।’
এ ছাড়া ১৯৮২ সালে এরশাদকে ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। বিনিময়ে এরশাদ সাহেব তাকে দুটি বাড়ি এবং নগদ ১০ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
তবে বরাবরই আওয়ামী লীগ এরশাদের কর্মকাণ্ডে সুবিধা নিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল। এ সময় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সংসদে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য অসত্য বলেও দাবি করেছেন তিনি।
খালেদা জিয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে প্রতিহিংসামূলকভাবে আটকে রেখেছে সরকার। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। ’