শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মুস্তাফিজকে ছাড়া মাঠে নেমে বড় হার দিল্লির

মুস্তাফিজকে ছাড়া মাঠে নেমে বড় হার দিল্লির

স্বদেশ ডেস্ক:

ভাড়া করা বিমানে করে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলার জন্য সকালে দেশ ছাড়েন মোস্তাফিজুর রহমান। দুপুরে ভারতে পৌঁছানোর পর তিনি দলের সাথে যোগ দিলেও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে একাদশে জায়গা পাননি। কাটার মাস্টারের না খেলা ম্যাচে ৫০ রানের বড় ব্যবধানে হারের মুখ দেখেছে দিল্লি।

শনিবার রাতে হওয়া ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা লক্ষ্ণৌ ৬ উইকেটে ১৯৩ রানের বড় স্কোর পায়। জবাবে দিল্লি ৯ উইকেটে ১৪৩ রানেই থামে। দলীয় ১৯ রানে প্রথম উইকেট হারায় লক্ষ্ণৌ। অধিনায়ক লোকেশ রাহুলের ব্যাট থেকে ৮ রানের বেশি আসেনি। দ্বিতীয় উইকেটে দীপক হুদাকে নিয়ে ৭৯ রানের জুটি গড়েন আইপিএলে অভিষিক্ত কাইল মায়ার্স। ১৪ রানে জীবন পাওয়া ক্যারিবীয় ব্যাটার ২৮ বলেই তুলে নেন ফিফটি।

হুদা ১৭ রান করে কুলদ্বীপ যাদবের বলে লং অফে ডেভিড ওয়ার্নারের হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন। খানিক পর অক্ষর প্যাটেলের অফ স্টাম্পের অনেক বাইরের বলটি টার্ন করে উইকেটে আঘাত হানলে ক্রিজ ছাড়েন মায়ার্স। এর আগে খেলেন ৩৮ বলে ২টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৭৩ রানের ঝড়ো ইনিংস। মার্কাস স্টইনিস ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। খলিল আহমেদের বলে সরফরাজের গ্লাভসে ধরা পড়ে ফেরেন।

ক্রুনাল পান্ডিয়া ও নিকোলাস পুরান পঞ্চম উইকেটে গড়েন ৪৮ রানের জুটি। ২১ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩০ রান করা পুরানের বিদায়ে জুটি ভাঙে। আয়ুশ বাদোনি শেষদিকে ৭ বলে একটি চার ও ২ ছক্কায় মিনি ক্যামিও ইনিংস খেলেন। চেতন সাকারিয়ার বলে আয়ুশ আউট হওয়ার পর তার পরিবর্তে ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় হিসেবে ইনিংসের শেষ বল খেলতে নেমে ছক্কা হাঁকান কৃষ্ণাপ্পা গৌথাম।

দিল্লির পক্ষে খলিল ৩০ ও অতি খরুচে সাকারিয়া ৫৩ রানের বিনিময়ে পান ২ উইকেট। অক্ষর ও কুলদ্বীপ নেন একটি করে উইকেট।

১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা দিল্লি শুরুটা ভালোই করেছিল। ৪ ওভারেই স্কোরবোর্ডে তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ৪০ রান।

পঞ্চম ওভারে বল হাতে নেয়া মার্ক উড ঝলসে ওঠেন। ১২ রান করা পৃথ্বী শকে ১৪৭ কিলোমিটার গতির বলে বোল্ড করেন। পরের বলে আবারো ১৪৭ কিলোমিটার গতির ঝড় তুলে মিচেল মার্শের উইকেট ছত্রখান করেন।

উডের শর্ট বলে আপারকাট করতে গিয়ে ডিপ ফাইন লেগে গৌথামের হাতে ধরা পড়েন সরফরাজ। ৭ ওভারে ৪৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে দিল্লি বিপদে পড়ে।

রাইলি রুশোকে নিয়ে বিপদ সামালের চেষ্টা করেন ওয়ার্নার। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৩৮ রানের জুটি। রুশো ২০ বলে ৩ চার ও এক ছক্কায় ৩০ রান করে রবি বিষ্ণোইয়ের বলে শর্ট ফাইন লেগে মায়ার্সের তালুবন্দি হন। রোভম্যান পাওয়েলকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন বিষ্ণোই। আভেশ খানের শিকারে পরিণত হন আমান হাকিম খান।

একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকা ওপেনার ওয়ার্নার তুলে নেন ফিফটি। যদিও তার ইনিংসটি টি-টুয়েন্টি সুলভ ছিল না। দিল্লির অধিনায়ক ৪৮ বলে ৭ চারে ৫৬ রান করে গৌথামের হাতে ধরা পড়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন। ১৬ ওভার শেষে ১১৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের প্রহর গুনতে থাকে মোস্তাফিজের দল।

শেষ চার ওভারে রান তুলে দিল্লি হারের ব্যবধান খানিকটা কমাতে সক্ষম হয়। মার্ক উড ২০তম ওভারে বল হাতে নিয়েই ১৬ রান করা অক্ষরের উইকেট তুলে নেন। পঞ্চম বলে সাকারিয়াকে সাজঘরে ফিরিয়ে এবারের আইপিএলে প্রথম বোলার হিসেবে উড ৫ উইকেট দখল করেন।

উড পুরো ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৪ রান খরচায় নেন ৫ উইকেট। আভেশ ও বিষ্ণোই দুটি করে উইকেট ঝুলিতে ভরেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877