বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১১:৫৫ পূর্বাহ্ন

পেনশন সংস্কার নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি মাখোঁর সরকার!

পেনশন সংস্কার নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি মাখোঁর সরকার!

স্বদেশ ডেস্ক:

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর সংস্কার কর্মসূচিতে পেনশনের বয়সসীমা দুই বছর বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে। এতে করে বিষয়টি নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি তার সরকার। কারণ, গত বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টকে পাশ কাটিয়ে বিতর্কিত পেনশন সংস্কার আইন নিজের নির্বাহী ক্ষমতায় পাস করার পর তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।

আজ সোমবার এই অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেনশনের বয়সসীমা বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ করছে দেশটির নাগরিকরা। বৃহস্পতিবার মাখোঁ এটির অনুমোদন দেওয়ার পর প্যারিসসহ দেশজুড়ে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে।

ফ্রান্সে অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ থেকে ৬৪ করার বিলের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ধর্মঘট করছেন নাগরিকরা। পেনশন সংস্কার আইন পাস করার জন্য ৪৯.৩ আর্টিকেল ব্যবহার করার সরকারের সিদ্ধান্তের পরের দিন শুক্রবার ফ্রান্সের বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সেদিন সন্ধ্যায় প্রায় দুই হাজার ৫০০ বিক্ষোভকারী প্যারিসের প্লেস দে লা কনকর্ডে জড়ো হয়েছিলেন, সেখানে হাই স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। ওই সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করলে বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়। ওইদিন প্যারিস ছাড়াও লিয়ন এবং স্ট্রাসবার্গে বিক্ষোভের পাশাপাশি সংঘর্ষ হয়।

পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যায় ৬১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার আগের দিন বৃহস্পতিবার ফ্রান্সে ৩১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এর মধ্যে প্যারিসে ২৫৮ জন।

রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার বিরোধী দলীয় আইনপ্রণেতারা পার্লামেন্টে দুটি অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন। মধ্যপন্থী লিওট গোষ্ঠী বহুদলীয় অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। এটিকে সমর্থন জানিয়েছে উগ্র-বামপন্থী নিউপস জোট। কয়েক ঘণ্টা পর ফ্রান্সের উগ্র-জাতীয়তাবাদী দল ন্যাশনাল র‍্যালি পার্টিও অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। পার্লামেন্টে দলটির সদস্য সংখ্যা ৮৮ জন।

গত বছর নির্বাচনের পর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ হারিয়েছে মাখোঁর ক্ষমতাসীন দল। তবুও বহুদলীয় অনাস্থা প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সুযোগ কম। যদি না উগ্র ডান ও উগ্র বামপন্থীরা মিলে কোনো সমঝোতায় না আসে।

রক্ষণশীল লেস রিপাবলিকাইনস (এলআর) দল এমন জোটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার আনা অনাস্থা প্রস্তাবে তারা সমর্থন দেয়নি। এরপরও চাপে রয়েছে ক্ষমতাসীন দল।

ফ্রান্সের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেড ইউনিয়নগুলোর একটি বৃহৎ জোট বলেছে, তারা সিদ্ধান্তটি বদলানোর জন্য প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে।

জাতীয় পরিষদের ভোট ছাড়াই একটি বিল গৃহীত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৯.৩ অনুচ্ছেদ সক্রিয় করে সরকারের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। সরকারের বিরুদ্ধে বা বিলটির প্রস্তাব জাতীয় পরিষদে পাস না হলে বিলটি গৃহীত বলে বিবেচিত হয়। বিপরীতে বিরোধীপক্ষের দ্বারা বিলটি বা প্রস্তাব পাস হলে, সরকারকে উৎখাত করা হয় এবং বিলটি প্রত্যাখ্যান করা হয়।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877