স্বদেশ ডেস্ক:
গত ২৪ ঘণ্টায় বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ৭৯৩ জন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। চলতি বছর গতকাল সকাল পর্যন্ত ৭৫ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। এর মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছে। এটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশের হাসপাতালগুলোয় ৭৯৩ জন নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানীতে ৩২৫ এবং বাইরের জেলাগুলোয় ৪৬৮ জন। চলতি বছর বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৭৫ হাজার ১৪৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এসব রোগীর মধ্যে ৭১ হাজার ৬১৭ জন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অবশিষ্ট ৩ হাজার ৩৩৭ জন চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। তিনি আরও জানান, চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এমন ১৯২ জনের তথ্য রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) ডেথ রিভিউ কমিটিতে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৯৬টি মৃত্যুর তথ্য পর্যালোচনা করে কমিটি ৫৭ জনের মৃত্যু ডেঙ্গুতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
কন্ট্রোল রুমের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ভর্তি হয় ৬১ জন। এ ছাড়া মিটফোর্ড হাসপাতালে ৫৭, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ৩৪, শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ২৬, বিএসএমএমইউতে ১৪, মুগদা হাসপাতালে ১৯, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৭, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে ৩ এবং সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ১১, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ২ ও বিজিবি হাসপাতালে ১ জন রোগী ভর্তি হয়।
রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগের অন্য জেলাগুলোয় ১০১, চট্টগ্রামে ৮৯, খুলনায় ১৪১, রংপুরে ৮, রাজশাহীতে ৪৬, বরিশালে ৫৭, সিলেটে ৯ এবং ময়মনসিংহে ১৭ রোগী ভর্তি হয়।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আবু সাঈদ নামে গতকাল শুক্রবার এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আবু সাঈদ টাঙ্গাইলের মোহাম্মদ ছালামের ছেলে। নগরীর আছদগঞ্জের একটি কারখানার ফোরম্যান ছিলেন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. ইমন দাশ জানিয়েছেন, আবু সাঈদ বৃহস্পতিবার রাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন। শুক্রবার বিকালে তার মৃত্যু হয়।