শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ০৩:৪১ অপরাহ্ন

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

স্বদেশ ডেস্ক:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে।

রোববার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চের জীববিজ্ঞান বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশের সাথে সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। অধ্যাপক টিমোথি ই ওয়ালশের সাথে সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যান্টিবায়োটিক বাংলাদেশের সর্বত্র পাওয়া যায় এবং ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এ জাতীয় ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।’

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

প্রধানমন্ত্রী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষককে বলেন, ‘এক সময় দেশের কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হতো। কিন্তু এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের প্রেসক্রিপশন নিয়ে সরকারি হাসপাতাল থেকে অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হয়।’

অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সর্বত্র যাতে অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

টিমোথি ই ওয়ালশ বলেন, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) এখন বিশ্বের আটটি দেশে মহামারী আকার ধারণ করেছে। এখনই প্রতিরোধ করা না গেলে ভবিষ্যতে এটি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করবে উল্লেখ করে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে এর ফলে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।

তিনি গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন এএমআর-এর কো-চেয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এবং ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালের মতো বিশেষায়িত হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠাসহ স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক উন্নয়নে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার কৃষি, মৌলিক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের পাশাপাশি দুই শ’টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে পিএইচডি, পোস্ট-ডক্টরাল ও গবেষণা ক্ষেত্রে ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।

অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এই অধ্যাপক ফেলোশিপের আওতায় চিকিৎসা ও মৌলিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য ইনোস ইনস্টিটিউট অব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রিসার্চ থেকে বঙ্গবন্ধু আইওআই ফেলোশিপ চালুর প্রস্তাব করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপের জন্য নীতিগত সম্মতি দেন।

এছাড়াও টিমোথি ই ওয়ালশ ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ককাসের সাথে এএমআর বিষয়ে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের অংশীদারিত্বের প্রস্তাব করেন এবং প্রধানমন্ত্রী তার ইতিবাচক সাড়া দেন।

সূত্র : ইউএনবি

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877