স্বদেশ ডেস্ক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছোট শরীফপুরে শিশু এমরানকে বলাৎকারের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি। মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলা পুলিশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
নিহত এমরান ওই গ্রামের সামছুল হকের ছেলে। সে স্থানীয় ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। শরীফপুর এলাকা থেকে তার লাশ অর্ধগলিত অবস্থায় উদ্ধার করেছিল পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, ওই শিশুটিকে হত্যার জন্য হত্যা করা হয়নি। চারজন ব্যক্তি শিশুটিকে বলাৎকারের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। এরপর স্থানীয় একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘরে প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়িতে রেখে দেয়। গত রোববার মো. ওয়াসিম আকরাম নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এবং জেলার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শোয়েব উদ্দিন খানের কাছে ১৬৪ ধারায় দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে এসব তথ্য উঠে আসে বলে জানিয়েছেন তিনি।
গত ২২ আগস্ট নিখোঁজ হয় এমরান। পরে তার বাবা বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ওই জিডির সূত্র ধরে পুলিশ এমরানকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরে ২৫ আগস্ট ছয়ানী বাজারের একটি পরিত্যক্ত দোকান ঘর থেকে অর্ধগলিত অবস্থায় এমরানের লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর পুলিশ এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা গ্রহণ করে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। গত রোববার মো. ওয়াসিম আকরাম নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়।