স্বদেশ ডেস্ক:
উপস্থিত বুদ্ধির জোরে পুরো পরিবারকে ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়া থেকে রক্ষা করেছেন ১৯ বছরের এক তরুণী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁচিয়েছেন মাকে।
আনাদোলু নিউজ অ্যাজেন্সি এই খবর জানিয়েছে।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে সাত দশমিক আট মাত্রার শক্তিশালী একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে সর্বশেষ দেশটিতে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৬৬৫ জন। আর সিরিয়ায় সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে গেছে। মোট দেশ দুটিতে ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে নিহতের সংখ্যা।
ওই রাতে উমিত আসলানোগ্লু নিজের ঘরেই ঘুমিয়ে ছিলেন, হঠাৎ তার পালিত কুকুরটি তারস্বরে ডাকতে লাগলো। থামছেই না! ঠিক সে সময় প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। আর সাথে সাথেই ওই তরুণী তার ভাই, মা আর আন্টিকে ডেকে তোলেন।
আশপাশের ভবনগুলো বিস্কুটের মতো ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছিল! তিনি তখন বারান্দা থেকে নিচে লাফিয়ে পড়েন তার ভাই আর খালাকে সেখানে থেকে বের হতে। পরে তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আবার উঠেন তার মাকে বাঁচাতে। সে সময় তাদের ভবনটি ভূমিকম্পে দুলে দুলে উঠছিল।
আনাদোলু নিউজ অ্যাজেন্সিকে তিনি বলেন, ‘ওই সময় ভবনটি আমাদের উপর পড়েছিল। ভবনের ভেঙে পরা অংশ আমার কোমরে পরে। আমি কোনোমতো ঠেলে উঠে দাঁড়াই। আমাদের বাঁচার একমাত্র উপায় ছিল বারান্দা থেকে লাফ দেয়া।’
উমিত আসলানোর পরিবার এখন উত্তরের রাবজোন প্রদেশে আছে এক আত্মীয়ের বাসায়। তারা ভালো আছেন।
সূত্র : মিডল ইস্ট মনিটর