সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৩:০৫ পূর্বাহ্ন

পাঁচে পাঁচ মাশরাফির সিলেটের

পাঁচে পাঁচ মাশরাফির সিলেটের

স্বদেশ ডেস্ক:

বোলিং-ব্যাটিং পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে মাশরাফি-মুশফিকের সিলেট স্ট্রাইকার্স।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে সিলেট ৫ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ডমিনেটর্সকে। এ নিয়ে পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতেই জিতলো সিলেট। অন্যদিকে ৪ ম্যাচ খেলে তৃতীয় হারের স্বাদ পেল ঢাকা।

টুর্নামেন্টের ১৩তম ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা। জবাবে ৪ বল বাকী রেখে জয়ের স্বাদ পায় সিলেট।

সোমবার স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন ঢাকা ডমিনেটর্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন।

এবারের আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে ম্যাচের প্রথম ওভারেই উইকেট শিকারে মাতেন সিলেটের পেসার রুবেল হোসেন। ওভারের তৃতীয় বলে ঢাকার ওপেনার সৌম্য সরকারকে লেগ বিফোর আউট করেন রুবেল।

এরপর পাওয়ার প্লের সুবিধা কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন ঢাকার পাকিস্তানী ওপেনার উসমান গনি ও শ্রীলংকার দিলশান মুনাবিরা। কিন্তু সিলেটের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংএ দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। জুটিতে ২৯ বলে ৩১ রান যোগ হবার পর বিচ্ছিন্ন হন উসমান ও মুনাবেরা।

পঞ্চম ওভারের দ্বিতীয় বলে মুনাবিরাকে আউট করেন পাকিস্তানের স্পিনার ইমাদ। ২টি চারে ১৭ বলে ১৭ রান করেন মুনাবিরা।

পরের ডেলিভারিতে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটার রবিন দাসকে বোল্ড করেন ইমাদ। খালি হাতে ফিরেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত রবিন।

ধীরলয়ে খেলতে থাকা উসমানকে ব্যক্তিগত ২৭ রানে বোল্ড করেন এই আসরে প্রথম খেলতে নামা স্পিনার নাজমুল ইসলাম। ২৮ বল খেলে ৪টি চার মারেন উসমান।

১৪তম ওভারে দলীয় ৭৪ রানে পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে ২৩ বলে ১৫ রান মোহাম্মদ মিথুনকে ফিরিয়ে দিয়ে ঢাকাকে চাপে ফেলে দেন ইমাদ।

এরপর ব্যাট হাতে মারমুখী হয়ে উঠেন অধিনায়ক নাসির ও আরিফুল হক। সিলেটের বোলারদের উপর চড়াও হয়ে খেলে ৩০ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৯তম ওভারের শেষ বলে আরিফুলকে শিকার করে জুটি ভাঙেন সিলেটের পাকিস্তানী পেসার মোহাম্মদ আমির। ১টি করে চার-ছয়ে ১৬ বলে ২০ রান করেন আরিফুল। নাসির-আরিফুল জুটিতে ১৪ বলে ২৯ রান যোগ করেন।

ইনিংসের শেষ ওভারে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে প্রথমবারের মত আক্রমনে এসে মাত্র ৪ রান দেন সিলেটের দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। শেষ বলে রান আউট হবার আগে ৩১ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন নাসির। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৮ রানের মামুলী সংগ্রহ পায় ঢাকা।

সিলেটের ইমাদ ৪ ওভারে ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া রুবেল-আমির ও নাজমুল ১টি করে শিকার করেন।
১২৯ রানের লক্ষ্যে দলকে ভালো সূচনা এনে দেন সিলেটের দুই ওপেনার পাকিস্তানের মোহাম্মদ হারিস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। মারমুখী মেজাজে রান তুলতে না পারলেও ৪৯ বল খেলে ৫২ রান যোগ করেন তারা। নবম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসে সিলেট শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন নাসির। ওভারের প্রথম বলে শান্তকে ও শেষ ডেলিভারিতে হারিসকে শিকার করেন নাসির। ২টি চারে ২০ বলে ১২ রান করেন শান্ত। ৩২ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ রান করেন হারিস।

নবম ওভারের প্রথম বলে তিন নম্বরে নামা জাকির হাসানকে ১ রানে বিদায় করেন স্পিনার আরাফাত সানি। ৭ বল ও ৯ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে সিলেট।

সিলেটকে চাপমুক্ত করতে চতুর্থ উইকেটে সাবধানে খেলতে থাকেন দুই মিডল-অর্ডার ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও ইমাদ। উইকেট ধরে খেলে ৩৮ বলে ৩২ রান যোগ করেন তারা। ১৬তম ওভারে মুশির সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে আরিফুলের সরাসির থ্রোতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন ইমাদ। চার-ছয় ছাড়া ২০ বলে মাত্র ১১ রান করেন ইমাদ।

ইমাদ যখন আউট হন তখন ২৬ বলে ৩৬ রান দরকার পড়ে। ১৮তম ওভারের প্রথম বলে তাসকিনের শিকার হন। ১টি করে চার-ছয়ে ২৫ বলে ২৭ রান করা মুশফিক। এমন অবস্থায় শেষ ২ ওভারে ২০ রান দরকার পড়ে সিলেটের।

পাকিস্তানি পেসার সালমান ইরশাদের করা ১৯তম ওভারে পেরেরার ২টি চার ও আকবরের ১টি ছক্কায় ১৮ রান পায় সিলেট। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ছক্কা মেরে সিলেটের জয় নিশ্চিত করেন পেরেরা। পেরেরা ১১ বলে ২১ ও আকবর ৫ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার নাসির ২টি উইকেট নেন।

সূত্র : বাসস

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877