রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিননেতৃত্বাধীন মহড়ায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী

দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিননেতৃত্বাধীন মহড়ায় মিয়ানমারের নৌবাহিনী

স্বদেশ ডেস্ক: মিয়ানমারের নৌবাহিনী সোমবার বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসিয়ানভুক্ত সাত দেশের নৌবাহিনীর সাথে ৫ দিনের নৌমহড়ায় অংশ নিতে তাদের বাহিনীও থাইল্যান্ড উপসাগরে যাচ্ছে।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে হবে এই মহড়া।

এই নৌমহড়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নীতির পরিপন্থী বলেই মনে হচ্ছে। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক ব্যক্তিত্বদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। ফলে এই মহড়া নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
নৌবাহিনীর প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল মো আঙ ভিন্ন নাম দিয়ে সোমবার ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বলেন যে তার ফ্রিগেট-১২, একটি ১০০ ক্রুবাহী জাহাজ কিয়ান সিত থার রণতরী আসিয়ান-যুক্তরাষ্ট্র মেরিটাইম এক্সারসাইজে অংশ নিতে ইয়াঙ্গুন ত্যাগ করেছে।

সামরিক বাহিনীর সংবাদপত্র মিয়াবদি ও মিয়ানমার নেভির ফেসবুক পেইজের তথ্যানুযায়ী, লে. কর্নেল খুন আঙ কিয়াও একটি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। নৌমহড়াটি হবে ২-৬ সেপ্টেম্বর। আসিয়ানের সাতটি দেশ এতে অংশ নেবে।
আঞ্চলিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন-নেতৃত্বাধীন বাহিনীর মহড়াটির উদ্দেশ্য হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও আসিয়ানভুক্ত নৌবাহিনীগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করা। আর তা করার লক্ষ্য হচ্ছে এই অঞ্চলে চীনা নৌপ্রভাবে, বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে ভারসাম্য বজায় রাখা।

গত জুলাই মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ মিন আঙ হ্লাইঙ, তার ডেপুটি চিফ ভাইস জেনারেল সো উইন, মেজর জেনারেল থান ওও, মেজর জেনারেল আঙ আঙ এবং তাদের পরিবার সদস্যদের ওপর অবরোধ আরোপ করে।২০১৭ সালে রাখাইনের রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ চালানোর জন্য এই শাস্তি দেয়া হয় তাদেরকে। এসব কমান্ডার ও তাদের পরিবার সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের সামরিক বাহিনীর ওই শুদ্ধি অভিযানের সময় সাত লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা রাখাইন থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তারা এখন বাংলাদেশের ঘিঞ্জি ক্যাম্পগুলোতে অবস্থান করছে। তাদের প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও তা কার্যকর হয়নি।
ওবামা প্রশাসন ২০১৬ সালে মিয়ানমারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল।
নৌমহড়া নিয়ে ইয়াঙ্গুনে মার্কিন দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছিল ইরাবতী। কিন্তু সেখান থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর মঙ্গলবার ইরাবতীকে জানায় যে চূড়ান্ত পরিকল্পনা তৈরি হচ্ছে। মহড়ার বিস্তারিত বিবরণ মহড়া শুরুর আগে জানানো হবে।
গত অক্টোবরে আসিয়ান-চীন নৌমহড়া হয়েছিল গুয়াঙডং প্রদেশের ঝানজিয়াং উপকূলে।
দি ইরাবতী/সাউথ এশিয়ান মনিটর

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877