স্বদেশ ডেস্ক:
ইরানে বিক্ষোভ শুরুর পর এই প্রথম একজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
কুর্দি তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরানে প্রায় দু’মাস ধরে চলা বিক্ষোভের মধ্যেই রোববার এ মৃত্যুদন্ড ঘোষিত হলো।
অজ্ঞাত অভিযুক্তকে তেহরানের আদালতে এ দণ্ড দেয়া হয়। বিচারবিভাগের মিজান অনলাইন ওয়েবসাইট থেকে এ কথা জানা গেছে।
মৃত্যুদণ্ড দ্রুতই কার্যকর করা হবে বলে আশঙ্কা করেছে একটি মানবাধিকার গ্রুপ।
অনলাইন খবরে বলা হয়েছে, সরকারি ভবনে আগুন দেয়া, শৃঙ্খলা বিঘ্ন, জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্রসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।
এটি ইরানের আইনে সবচেয়ে গুরুতর অপরাধের একটি হিসেবে বিবেচিত বলে মিজান অনলাইনে বলা হয়েছে।
এদিকে তেহরানের অপর একটি আদালত জাতীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটনে ষড়যন্ত্র ও সমাবেশ এবং জনশৃঙ্খলা বিঘ্নের দায়ে আরো পাঁচজনকে পাঁচ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।
নরওয়েভিত্তিক এনজিও ইরান হিউম্যান রাইটসের পরিচালক মাহমুদ আমিরি মোগাদ্দাম বলেছেন, সরকারি তথ্য অনুযায়ী অন্তত ২০ জন শাস্তিযোগ্য মৃত্যুদণ্ডের মুখোমুখি রয়েছেন।
তিনি বলেন, আমরা খুবই উদ্বিগ্ন যে এসব মৃত্যুদণ্ড খুব দ্রুতই কার্যকর করা হবে।
তিনি আরো বলেন,আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইরানী কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে বার্তা পাঠাতে হবে এই বলে যে বিক্ষোভকারীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর গ্রহণযোগ্য নয় এবং এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।
ইরানের বিচার বিভাগের সূত্রে জানা গেছে, বিক্ষোভ শুরুর পর এতে জড়িত থাকার দায়ে দু’হাজারেরও বেশি লোককে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর প্রায় অর্ধেকই রাজধানী তেহরানের।
সূত্র : বাসস