স্বদেশ ডেস্ক:
তুরস্কের ইস্তাম্বুল নগরীর বিস্ফোরণ-রহস্যের অবসান হয়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, এক নারী এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। রোববার বিকেলের ওই বিস্ফোরণে অন্তত ছয়জন নিহত ও ৮১ জন আহত হয়েছে। এটাকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
ইস্তাম্বুলের গভর্নর আলি ইয়ারলিকায়া বলেছেন, শহরের তাকসিম এলাকায় স্থানীয় সময় বিকেল ৪:২০-এ এই বিস্ফোরণ ঘটে।
আইনমন্ত্রী বেকির বোজদাগ তুর্কি মিডিয়াতে বলেন, যে এলাকায় বিস্ফোরণটি ঘটেছে, সেখানকার একটি বেঞ্চে এক নারীকে ৪০ মিনিট ধরে বসে থাকতে দেখা গেছে। ওই নারী সরে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিস্ফোরণটি ঘটে।
এখন পর্যন্ত কেউ এর দায়দায়িত্ব গ্রহণ করেনি। পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে। তবে ওই লোক নারী না পুরুষ তা জানা যায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিখ্যাত ইস্তিকলাল স্ট্রিটে, যেখান থেকে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, সেখানে রাস্তায় নিথর লাশ পড়ে আছে। বিস্ফোরণের কারণ এখনো পরিষ্কার নয়।
ঘটনাস্থলে এখন বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত লোকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতেই বলেছেন, বিস্ফোরণটি সম্ভবত একটি সন্ত্রাসী হামলা এবং তা ঘটিয়েছে এক নারী।
আর প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিপ এরদোগান বলেছেন, হামলাকারীদের অবশ্যই শাস্তি দেয়া হবে।
ঘটনাস্থলে এখন বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত লোকদের সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত বিবিসি সংবাদদাতা অরলা গেরিন জানাচ্ছেন, হেলিকপ্টারগুলো মাথার ওপর দিয়ে চক্কর দিচ্ছে এবং একের পর এক অ্যাম্বুলেন্স আসছে ও যাচ্ছে।
তিনি জানান, সাধারণত ব্যস্ত এই রাস্তায় অনেক দোকানদার তাদের দরজায় দাঁড়িয়ে থেকে হতবাক হয়ে দেখেছিলেন।
ঘটনাটিতে শহরের আরো অনেকেই হতবাক হয়ে যাবেন বলে বলেন বিবিসির সংবাদদাতা।
প্রত্যক্ষদর্শী কেমাল দেনিচি প্রায় ৫৪ গজ দূর থেকে এই বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান।
তিনি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি তিন বা চারজনকে মাটিতে পড়ে থাকতে দেখেছি।’
‘মানুষ আতঙ্কে দৌড়াচ্ছিল … কালো ধোঁয়া উঠছিল। বিস্ফোরণের শব্দ এত শক্তিশালী ছিল যে প্রায় বধির হওয়ার মতো,’ বলছিলেন তিনি।
বিবিসির ইউরোপবিষয়ক সম্পাদক বলছেন, ইস্তাম্বুলে আগেও বোমা হামলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ সালে ইস্তাম্বুলের কেন্দ্রে ব্যাপক এক বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং এতে ১০ জন নিহত হয়। ঘটনায় আহত হন আরো ১৫ জন।
ঐ বিস্ফোরণটি ঘটেছিল শহরের একদম কেন্দ্রে সুলতানহামেত চত্বরে।
এরপর ২০১৭ সালে এক নৈশক্লাবে ১৭ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে ।
তবে তারপর এটাই এ ধরণের প্রথম ঘটনা।
সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা ও অন্যান্য