মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৫:৫৯ অপরাহ্ন

পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!

পৃথিবীর সুরক্ষায় নাসার মহাকাশযান ধ্বংস করেছে গ্রহাণু!

স্বদেশ ডেস্ক:

লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও অভিনীত ২০২১ সালের ‘ডোন্ট লুক আপ’ সিনেমাটি দেখেছেন? যেখানে দু’জন জ্যোতির্বিজ্ঞানী পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা ধুমকেতুর বিষয়ে রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার চেষ্টা করে!

সিনেমাটি না দেখে থাকলেও সমস্যা নেই। একটু ভাবুন তো, গ্রহাণু বা ধুমকেতু প্রবল বেগে ধেয়ে এসে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছে! ভাবতেই গায়ে কাটা দেয় তাই না?

মার্কিন মহাকাশ সংস্থাও (নাসা) বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তাভাবনা করেছে এবং অনেক আগে থেকেই তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

মহাকাশে পৃথিবী থেকে ৭০ লাখ মাইল দূরে বহুকাল ধরে ভেসে বেড়াচ্ছিল একটি গ্রহাণু। এটিকে লক্ষ্য করেই নাসার এক মহাকাশযান প্রতি ঘণ্টায় ১৪ হাজার মাইল বেগে তেড়ে যায়। লক্ষ্যবস্তুর সাথে বাঁধে সংঘর্ষ। বলে রাখা ভালো, এই সংঘর্ষ কিন্তু সুপরিকল্পিত।

নাসার ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডাইরেকশন টেস্ট (ডার্ট) মহাকাশযান ও ডিমরফোর নামক ৫২৫ ফুট চওড়া গ্রহাণুর মধ্যে সোমবার পূর্ব সময় (ইটি) সন্ধ্যা ৭টা ১৪ মিনিটে সংঘর্ষ হয়। এর ফলে প্রথমবারের মতো মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মহাকাশীয় বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন করেছে। তাছাড়া এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে পৃথিবীর দিকে যেকোনো মহাকাশীয় বস্তু ধেয়ে আসলে তা এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফলকে কাজে লাগিয়ে ধ্বংস করে সজীব এই গ্রহকে রক্ষা করা যাবে।

তবে বিজ্ঞানীরা মোটামুটি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী এক শ’ বছরে বড় আকারের কোনো গ্রহাণু পৃথিবীকে আঘাত করছে না। তাছাড়া অনায়াসে অন্যান্য গ্রহ, গ্রহাণু বা মকাশীয় বস্তুর গতিপথ মানুষ পর্যবেক্ষণ করতে পারে বড় ও শক্তিশালী টেলিস্কোপ ব্যবহার করে। তবে এর অর্থ এই নয় যে ছোটখাটো কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

ডার্ট মিশনকে পরিচালনাকারী মেরিল্যান্ডের লরেলে অবস্থিত জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিদ্যা পরীক্ষাগারের (এপিএল) একজন হচ্ছেন ন্যান্সি চ্যাবট। তিনি বলেন, ‘গ্রহাণু দ্বারা পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার বিষয়ে আমি সত্যিই ঘুম হারাচ্ছি না, তবে আমি এমন একটি বিশ্বে বাস করার বিষয়ে উত্তেজিত যেখানে আমরা ভবিষ্যতে এটিকে প্রতিরোধ করতে সক্ষম হব।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটি শুধুমাত্র প্রথম পদক্ষেপ। কিন্তু এটা কি উত্তেজনাপূর্ণ নয় যে আমরা কল্পবিজ্ঞান থেকে বাস্তবতায় যাচ্ছি?’

সেই বাস্তবতাকে রূপ দেয়ার অনুশীলন হিসেবেই নাসা ডার্টকে গ্রহাণুটি ধ্বংস করার উদ্দেশে পাঠিয়েছে। এই প্রথম প্রচেষ্টার মিশনটির জন্য খরচ করতে হয়েছে ৩২ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877