স্বদেশ ডেস্ক:
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ২৪ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে রেলওয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৩ জুন দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে ইসলামাবাদ এলাকায় বরছড়া রেলব্রিজে ওই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চারজন নিহত হয়েছিলেন।
এ ঘটনার পরে ২৯ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সেতুর কাছে ছয় মাসে সাতটি দুর্ঘটনা’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ওই প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।
রুলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেললাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না-তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এ ক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেললাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এ ক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না-তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপক (পূর্বজোন), বিভাগীয় প্রধান (পূর্বজোন) ও একই জোনের প্রধান প্রকৌশলীকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।