স্বদেশ ডেস্ক:
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়াতে রফতানিমুখী মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প স্থাপনে তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ করতে পারি বা মাছ থেকে বিভিন্ন ধরণের পণ্য তৈরি করতে পারি এবং সেগুগুলো রফতানি করতে পারি।’
রোববার জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২২ উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
নতুন প্রজন্ম এমন শিল্প স্থাপনে আরো এগিয়ে আসবে, যা বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
‘নিরাপদ মাছে ভরব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের মৎস্য সপ্তাহ (২৩-২৯ জুলাই) শুরু হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় এবং এতে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প দেশীয় চাহিদা পূরণেও অবদান রাখবে।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, এইভাবে আমরা আমাদের দেশকে আরো এগিয়ে নিতে সক্ষম হবো।’
কক্সবাজার ও কুয়াকাটাসহ উপকূলীয় এলাকায় জাল দিয়ে চিংড়ি পোনা ধরার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি। কারণ এতে আরো অনেক জাতের মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী দেশের হাওর অঞ্চলকে মাছ উৎপাদনে কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘দেশের হাওর এলাকায় শুধু ধান নয়, মাছেরও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। সে লক্ষ্যে আমাদের সারাদেশের হাওরের বিভিন্ন অংশে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার নেত্রকোণায় একটি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে এবং সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ ও সিলেট এলাকায় কাজ চলমান।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী এসএম রেজাউল করিম, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরীও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কৃষিমন্ত্রী জাতীয় মৎস্য পুরস্কার প্রাপকদের হাতে তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মৎস্য খাতের উন্নয়নের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
সূত্র : ইউএনবি