স্বদেশ ডেস্ক:
১২০ ভরি স্বর্ণ উদ্ধারের পর মাদক বানিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে সাতক্ষীরার সাবেক পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে। গত বুধবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে।
আলতাফ হোসেন ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই থেকে পরের বছর ডিসেম্বর পর্যন্ত সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার ছিলেন। এখন ট্যুরিস্ট পুলিশের সিলেট অঞ্চলের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি।
তার দায়িত্ব পালনের সময় ২০১৬ সালের ৬ অক্টোবর বিপ্লব চ্যাটার্জি নামের এক স্বর্ণ কারবারি আটক হন। তার কাছ থেকে ১২০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। পাটকেলঘাটা থানায় উদ্ধার করা সোনার জব্দ তালিকাও করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কিন্তু ওই ঘটনায় থানায় স্বর্ণ চোরাচালানের মামলা রেকর্ড না হয়ে মাদক মামলা রেকর্ড হয়। স্বর্ণ উদ্ধারের ঘটনাটিকে মাদক উদ্ধারের ঘটনায় সাজানোর বিষয়টি জানা সত্ত্বেও দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো আইনানুগ ব্যবস্থা নেননি আলতাফ হোসেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে ২০১৯ সালে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়। এরপর তার ব্যাখ্যাও নেওয়া হয়। পরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আতাউল কিবরিয়া এ বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করেন। সেখানে আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়। পরে দ্বিতীয় দফায় আলতাফ হোসেনের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়।
আলতাফ হোসেনের জবাব পর্যালোচনা করে তাকে চাকরি থেকে অপসারণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের মতামত নেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আলতাফ হোসেনের চাকরিচ্যুতির ওই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর (খ) অনুযায়ী আনা ‘অসদাচরণের’ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এই বিধিমালার ৪(৩) গ বিধি মোতাবেক গুরুতর দণ্ড হিসেবে প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।