স্বদেশ ডেস্ক:
ইউক্রেন ঘিরে রাশিয়া ও পশ্চিমাদের মধ্যকার উত্তেজনা দিন দিন চরম পর্যায়ে যাচ্ছে। যে কোনো সময় রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে- এমন আশঙ্কা আরও জোরদার হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে রাশিয়া নিজেদের কূটনীতিকদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রও নিজেদের দূতাবাসকর্মীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কিয়েভ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। খবর বিবিসি, আল জাজিরা।
গতকাল শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেছেন, কিয়েভের শাসক অথবা অন্য দেশগুলোর সম্ভাব্য উসকানির আশঙ্কায় আমরা ইউক্রেনে নিযুক্ত রুশ মিশনের কর্মীর সংখ্যা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মিশন থেকে কর্মীর সংখ্যা হ্রাসের অর্থ কী, সে বিষয়ে কিছু বলেননি মারিয়া জাখারোভা। তবে তিনি বলেছেন, ইউক্রেনে নিযুক্ত দূতাবাস এবং সব কনস্যুলেট তাদের প্রধান কাজ চালিয়ে যাবে। এর আগেও যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ কিয়েভ থেকে নিজেদের দূতাবাসকর্মী সরানোর কথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানিয়েছেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেনে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘ঠিক কোন দিন এবং কখন হামলা হবে- সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের হাতে কোনো তথ্য নেই, তবে হামলা যে ঘটবে তার আশঙ্কা অতি স্পষ্ট এবং আমাদের ধারণা, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই কিয়েভে হামলা করার পরিকল্পনা করছে মস্কো।’
এই পরিস্থিতি ইউক্রেনে এখনো যেসব মার্কিন বেসামরিক নাগরিক অবস্থান করছেন, তাদের আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন সরকার। যদি দেশ ত্যাগ করতে গিয়ে কোনো নাগরিক যানবাহন বা অন্য কোনো সমস্যায় পড়েন, সে ক্ষেত্রে তিনি সেখানকার মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’ ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার লক্ষাধিক সেনা সমাবেশ এবং সামরিক কার্যক্রম বৃদ্ধি পাওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কয়েকটি দেশ বলেছে, ইউক্রেনে যে কোনো সময় আক্রমণ চালাতে পারে রাশিয়া। যদিও রাশিয়া এই ধরনের পরিকল্পনার তথ্য অস্বীকার করেছে। তবে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে আরও সেনা বাড়িয়েছে মস্কো।